পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামগোপাল ঘোষ।
১৬৭

বাটী, সভার স্থান রূপে নির্দ্দিষ্ট হয়। যাহাহউক, যখন তাঁহার প্রাগুক্ত বিষয় সকলে তাঁহাদের নবোপার্জ্জিতা বাক্ পটুতা সহকারে বক্ত‌ৃতা করিয়া সভাগৃহ প্রতিধ্বনিত করিতেছিলেন, সেই সময়ে দ্বারকানাথ ঠাকুর, পার্লিয়ামেণ্টের পূর্ধ্বতন সভ্য বিখ্যাত বাগ্মী জর্জটম্সন্ নামক একজন সাহেবকে সঙ্গে লইয়া বিলাত হইতে প্রত্যাগত ইলেন। ঐ সভার নূতন ভাব ও নূতন চিন্তার বক্তৃতা শুনিয়া এদেশের প্রধান প্রধান রাজনীতিজ্ঞ সাহেবেরও চককিয়া উঠিতেন। জর্জটম‍্সনের আগমন বার্ত্তা শুনিয়া রামগোপাল অত্যন্ত আহলাদিত হইলেন। “যে যাহা চায় সে তাহা পায়।” এই প্রবাদ সার্থক মনে করিলেন। রাজনীতি বিষয়িণী বক্ত‌ৃতা করিতে ও শুনিতেই তাঁহার অন্তর নিয়ত উৎসুক ছিল। জর্জটম্সন‍্কে প্রত্যুদগমন করিয়া সভায় আনিলেন। সাহেব তাঁহাদের উদ্দেশ্য অবগত হইয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন এবং একটী বক্ত‌ৃতা দ্বারা তাঁহাদিগকে উপদেশ দেন। বিলাতের পার্লিয়ামেণ্ট মহাসভায় সচরাচর যেরূপ বক্ত‌ৃতা হইয়া থাকে, টম্সনের বক্ত‌ৃতা সেই জাতীয়। ইহার পূর্ব্বে ভারতবাসি-গণ এমন বক্ত‌ৃতা আর কখন শুনেন নাই। এই বক্ত‌ৃতার পর রামগোপালের সভার প্রকৃতি ও নাম পরিবর্ত্তিত হইল। শেষে উহার “বেঙ্গল ব্রিটিস ইণ্ডিয়া সোসাইটি” এই নাম হইয়াছিল।