পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭০
চরিতাষ্টক।

দেওয়া, এদেশের অনেকের অভাব ছিল এবং অদ্যাপি আছে। কিন্তু রামগোপাল ঐ প্রস্তাবে ঘৃণা প্রকাশ করিয়া, “যদি দেনা পরিশোধ করিতে পরিধেয় বস্ত্রও বিক্রয় করিতে হয়, তাহাও করিব।” এই কথা বলিয়া ছিলেন। যাহা হউক, সৌভাগ্য বশতঃ তিনি বিলাত। হইতে বিলশোধ টাকা পাইয়া ছিলেন, এদেশীয় মহাজনদিগের ঋণ পরিশোধ করিবার জন্য তাঁহাকে এক পয়সাও লোকসান্ দিতে হয় নাই। ইহার কিছু কাল পরে অংশী সাহেবের সঙ্গে কিঞ্চিৎ মনোবাদ হওয়ায় তাঁহারা উভয়ে পৃথক্ হইলেন। এই সময়ে তিনি আপন লাভ স্বরূপ দুই লক্ষ টাকা পাইয়াছিলেন। কিন্তু তৎসদৃশ “সাখরচে” লোকের পক্ষে দুই লক্ষ টাকা যথেষ্ট নহে। কিছু কাল কর্ম্ম কাজ শূন্য হইয়া রহিলেন। তাঁহার পূর্ব্ব সহায় আণ্ডারসন্ সাহেব তখন বিলাতে ছিলেন। তিনি কাজ কর্ম্মের কোন সুবিধা করিয়া দিতে পারেন কিনা জিজ্ঞাসা করিয়া রামগোপাল পত্র লিখিলেন।

 এই পত্রের উত্তর আসিবার পূর্ব্বে, বাঙ্গালা গবর্নমেণ্ট তাঁহাকে কলিকাতার ছোট আদালতের বিচারপতি নিযুক্ত করিতে চাহেন। তিনি কখনই ইষ্ট‌্ইণ্ডিয়া কোম্পানির লুন খান নাই, এই জন্য অনেক বিবেচনার পর ঐ পদ গ্রহণে অস্বীকার করিলেন। ইতি মধ্যে