১২৭৫ সালে) তাঁহার মৃত্যু হইয়াছিল, সেই দিন প্রাতে তাঁহার দুই বাহু দেহ পার্শ্বে বিসারিত ছিল, যেন আপন মনে অস্ফুটস্বরে কি বলিতে ছিলেন,—বিকম্পিত অধরৌষ্ঠ, তাহা প্রকাশ করিতেছিল। ক্রমশঃ উভয় পার্শ্ব হইতে হস্তদ্বয় বক্ষে আনিলেন,—পুটদ্বয় সংযুক্ত করিলেন। ইহা তাঁহার শেষ প্রার্থনা, অবস্থাই তাহার পরিচয় দিতে ছিল। কিয়ৎক্ষণ এই ভাবে থাকিয়া,—এই ভাবেই প্রাণত্যাগ করিলেন। এই, সেই গৌরবান্বিত পুরুষের গৌরবান্বিত মৃত্যু!
মৃত্যুর কিছুদিন পূর্ব্বে তিনি আপন সম্পত্তি সম্বন্ধে এইরূপ ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। ঐ সম্পত্তির পরিমাণ তিনলক্ষ টাকারও অধিক। একলক্ষ টাকা তাঁহার বিধবা পত্নীও অন্যান্য পরিবারদিগকে দেন। ২০,০০০ হাজার টাকা ডিসট্রিক্ট্ দাতব্য চিকিৎসালয়ে দেন। এবং ৪০,০০০ হাজার টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করেন। বন্ধুগণকে প্রায় ৪০,০০০ হাজার টাকা ধার দেওয়া ছিল, তাহা ছাড়িয়া দেন। তিনি অত্যন্ত মাতৃভক্ত ছিলেন। তাঁহার মাতা আপনার পূজা ও ব্রতাদি জন্য যখন যত টাকা চাহিতেন, তখন তাহাই দিতেন। মাতকে অসন্তুষ্ট করিবার জন্য আপন মতের বিরুদ্ধ কোন কাজ করিতেই পরাঙ্মুখ হইতেন না। তিনি নিষিদ্ধ দ্রব্য ভোজন করিয়াছেন বলিয়া, ব্রাহ্মণেরা