পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামগোপাল ঘোষ।
১৮১

করিতে করিতে একটী ভগ্ন স্তম্ভকে লক্ষ্য করিয়া বলেন, “তুমি আমাকে ভাঙ্গিতে পরিবে, কিন্তু নোয়তে পারিবে না।” তিনি যাবজ্জীবন যত কার্য্য করিয়া ছিলেন, সকলের উপরই এই ভাবের ছায়া দৃষ্ট হইয়াছিল। এদেশে রেলওয়ে প্রচলিত করিবার জন্য তিনি তাহার অনুষ্ঠাতৃগণের সহিত সবিশেষ সহযোগিতা করিয়াছিলেন। মনুষ্যত্ব পুরস্কারে সকলেরই সমান স্বত্ব, ইহা দেখাইবার জন্য তিনি বিস্তর শ্রম করিয়া গিয়াছেন। স্বমতের পোষকতাহেতু তাঁহার নিকট সমাগত ব্যক্তিগণের সহিত একাসনে বসতেন। স্বয়ং গমন করিয়া দূরস্থ বন্ধুগণের তত্ত্বাবধান করিতেন। বিখ্যাত মিউটিনির সময়ে বাঙ্গালীদিগের উপর গবর্ণমেণ্টের যে কুসংস্কার, হইয়াছিল, তাহার দূরীকরণে রামগোপাল অনেক পরিশ্রম করিয়াছিলেন। তাঁহার মৃত্যুতে বেঙ্গল গবর্ণমেণ্ট দুঃখ প্রকাশ করিয়া প্যারিচাঁদ মিত্রকে পত্র লিখিয়া ছিলেন। এতদ্বতীত তিনি, গবর্ণমেণ্টের যে যে সভা ও সমাজের নির্দ্দিষ্ট মেম্বর ছিলেন, সকলেই তাঁহার মৃত্যু জন্য শোক, সভার পুস্তকে লিপিবদ্ধ করেন।

 বিদ্যালয়ের বালকগণ,—“স্বনাম পুরুষোধন্যঃ” এই প্রাচীন বাক্যের স্মরণ করিয়া রামগোপাল ঘোষকে ধন্যগদ দেও।


১৬