পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কবি মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
১৮৩

শ্রেণীতে ব্যাকরণ পড়িতে লাগিলেন। ক্রমশঃ উভয়ের অত্যন্ত প্রণয় হইল। বুদ্ধি বিষয়ে কেহই কম ছিলেম না। পরীক্ষায় দুই জনেই উত্তমরূপে উত্তীর্ণ হইতেন। সে শ্রেণীতে পারিতোষিক হইলে তাঁহারা ভিন্ন আর কেহ পাইতেন না। তিনবৎসরে ব্যাকরণ পাঠ সম্পন্ন করিয়া উভয়েই সাহিত্য শ্রেণীতে উঠেন। এই শ্রেণীতে কিছু দিন পড়িতে পড়িতেই মদনমোহন সংস্কৃত ও বাঙ্গালা কবিতা রচনা করিতে আরম্ভ করেন। তাঁহার কবিতা গুলি সরল ও মিষ্ট হইত এবং তিনি পাঠ্য পুস্তক সকল উত্তমরূপে বুঝিতেন। এই জন্য তৎকালীন সাহিত্যাধ্যাপক জয়গোপাল তর্কালঙ্কার তাঁহাকে ভাল বাসিতে লাগিলেন। দুই বৎসর সাহিত্য শ্রেণীতে পড়িয়া অলঙ্কার শাস্ত্রের শ্রেণীতে উঠিলেন। তখন তাঁহার বয়স ১৭ বৎসর। তিনি অতি সত্বরই অলঙ্কারে ব্যুৎপত্তিলাভ করেন। বিশেষতঃ পদ্য গ্রন্থনে ক্রমেই তাঁহার ইচ্ছা ও শক্তি বাড়িতে লাগিল। এই সময়ে প্রেমচাঁদ তর্কবাগীশ এই শ্রেণীর অপ্যাপক ছিলেন। তিনিও মদনমোহনের শিক্ষানৈপুণ্য দেখিয়া সন্তুষ্ট হন। মদনমোহন, এই শ্রেণীতে পড়িবার সময় সংস্কৃত “রসতরঙ্গিনী” গ্রন্থের বাঙ্গলা পদ্যে অনুবাদ করেন। তাঁহার ঐ বাঙ্গালা কবিতা গুলি বেশ মিষ্ট ও সুললিত; কিন্তু পলকগণের পাঠ্য পুস্তকে তুলিয়া দিবার যোগ্য নহে।