পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কবি মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
১৮৭

অনেকেই স্বীকার করেন যে, শিশুশিক্ষার পূর্ব্বে বালক বালিকার পাঠোপযোগী তাদৃশ সরল বাঙ্গালা আর লিখিত হয় নাই। প্রথমভাগ শিশুশিক্ষা তিনি বেথুন্ সাহেবের নামে উৎসর্গ করেন। এই সময়ে কলিকাতার সংস্কৃত মুদ্রাযন্ত্র তাঁহারই যত্নে স্থাপিত হয়। তাহাতে বাঙ্গালা ও সংস্কৃতের অনেক প্রাচীন গ্রন্থ মুদ্রিত হয়। “সর্ব্ব শুভকরী” নাম্নী এক খানি বাঙ্গলা সম্বাদ পত্রিকা তাঁহার যত্নে প্রচারিত হইতে আরম্ভ হইয়াছিল। তিনি নিয়মিতরূপে উহাতে প্রস্তাব সকল লিখিতেন। স্ত্রীশিক্ষা ও স্ত্রী স্বাধীনতা বিষয়ে তিনি অনেক প্রস্তাব লিখিয়াছিলেন। তৎকালে সকলেই তাঁহার ঐ সকল লেখার প্রশংসা করিতেন। তিনি “কন্যাপ্যেবং পালনীয়া শিক্ষণীয়াতিযত্নতঃ।” মহা নির্ব্বাণ তন্ত্রের এই বচন উদ্ধত করিয়া লোকদিগকে স্ত্রীশিক্ষা বিষয়ে উৎলাহিত করিতেন। কিন্তু বন্ধ সমাজের অবস্থা পর্য্যা লোচনা করিতে ও “নস্ত্রেীস্বাতন্ত্র্যমর্হতি” এই রচন উদ্ধৃত করিতে বিস্মৃত হইয়াছিলেন।

 স্ত্রীশিক্ষা বিষয়ে অন্তরের সহিত যত্ন ও পরিশ্রম করিতেন বলিয়া বেথুন সাহেব তাঁহার পুরস্কার করিতে ইচ্ছা করিলেন। মদনমোহনের নিকট এই ভাব প্রকাশ করায় তিনি এই অভিপ্রায়ে উত্তর করিয়াছিলেন, “আপনি অপার সমুদ্র পার হইতে আসিয়া বঙ্গবালা-