পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৮
চরিতাষ্টক।

গণের দুরবস্থা মোচনের চেষ্টা করিতেছেন, আমি বাঙ্গালী হইয়া সেই চেষ্টার কিঞ্চিম্মাত্র সহায়তা করিয়া কোন ক্রমেই পুরস্কারের যোগ্য নহি।” বেথুন ইহাতে অধিকতর সন্তুষ্ট হন। সাহেব প্রথমে তর্কালঙ্করকে বিদ্যালয়ে শিক্ষা দান নিবন্ধন বেতন লইতে অনুরোধ করেন, মদন তাহা অস্বীকার করিয়া ঐ পদে গিরীশ বিদ্যারত্নকে নিযুক্ত করিয়া দেন। এই সময়ে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষের পদ শূন্য হয়। বেথুন তর্কালঙ্কারকে ঐ পদ দিতে চাহেন। তর্কালঙ্কার, আপনাপেক্ষা বিদ্যাসাগরকে ঐ পদের অধিক যোগ্য স্বীকার করিয়া তাঁহাকে ঐ পদ দিতে অনুরোধ করেন। তর্কালঙ্কারের চরিতাখ্যায়ক এই কথার সত্যতায় সংশয় করেন। তিনি বলেন “ইহা সত্য হইলে তর্কালঙ্কার বন্ধুত্ব ও ঔদার্যের পরাকাষ্ঠা দেখাইয়া গিয়াছেন।”

 কলিকাতার জল বায়ু তর্কালঙ্কারের সহ্য হইত না। তিনি যত কাল কলিকাতায় ছিলেন, বরাবর অস্বাস্থ্য ভোগ করিতেন। ক্রমে তাঁহার অস্বাস্থ্য বদ্ধ-মূল হইতে লাগিল। এই সময়ে মুরসিদাবাদের জজ্ পণ্ডিতের পদ শূন্য হওয়ায় তিনি ঐ পদে নিযুক্ত হইবার জন্য বেথুন সাহেবকে বলেন। বেথুন তর্কালঙ্কারের কুশলার্থী ছিলেন। তিনি বাঙ্গালা গবর্ণমেণ্টকে এজন্য বিশেষ রূপে অনুরোধ করায় তর্কালঙ্কার ঐ পদ প্রাপ্ত হইলেন।