পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কবি মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
১৮৯

ঐ পদের বেতন মাসে ১৫০ টাকা ছিল। গ্রন্থ ও সম্বাদপত্র প্রচার, স্ত্রী শিক্ষার সহায়তা এবং উৎকৃষ্ট স্বভাব প্রযুক্ত ইহার পূর্ধ্ব হইতে দেশমধ্যে তাঁহার সুখ্যাতি প্রচারিত হইয়াছিল। মুরসিদাবাদে গিয়া তত্রত্য ব্যক্তিগণ দ্বারা তিনি সমাদরে ও পরিচিত বন্ধুর ন্যায় পরিগৃহীত হইলেন। ছয় বৎসর জজ্ পণ্ডিতের কাজ করিয়া ঐ স্থানেই ডেপুটী মাজিষ্টরের পদ পান। বিদ্যা, বুদ্ধি ও সরল ব্যবহারে তত্রত্য সকলেই তাঁহার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন। জজ্ পণ্ডিতের কর্ম্ম করিবার সময় তাঁহার যথেষ্ট অবসর ছিল। এইজন্য মুরসিদাবাদের হিতের জন্য অনেক সদনুষ্ঠানে মনোযোগ করিতে পারিয়া ছিলেন। মধ্যে মধ্যে সভাস্থাপন ও তাহাতে বক্তৃতা করিয়া লোকদিগকে সৎকার্য্যে প্রবৃত্ত দিতেন। বিধবা ও অনাথ বালক বালিকাদিগের সাহায্য জন্য একটি দাতব্য সমাজ স্থাপন করিয়াছিলেন। তদ্ব্যতীত মুরসিদাবাদে একটি অতিথিশালা স্থাপন করেন। মদনমোহনের যাইবার পূর্ব্বে মুরসিদাবাদে এতাদৃশ সাধারণ হিতকর কাজের অনুষ্ঠান প্রায় ছিল না।

 মদনমোহন জজ্ পণ্ডিতের পদ ত্যাগ করিলে শ্রীযুক্ত শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ঐ পদে নিযুক্ত হন। ১২৬২ সালে (১৮৫৫খৃঃ) শ্রীযুক্ত বিদ্যাসাগরের “বিধবা বিবাহ বিষয়ক’ প্রথম পুস্তক প্রকাশিত হয়। দেশীয় পণ্ডিত