পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কবি মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
১৯১

করিতে হইয়াছিল। তাঁহার বিপক্ষেরা যাহাই বলুন, এস্থলে মোটের উপর আমরা এই কথা বলিতে পারি, কোনরূপ অনিষ্টকর প্রথার নিরাকরণ বা নুতন বিধ মঙ্গলানুষ্ঠান করিতে গিয়া বিড়ম্বনা ভোগ করিলে—সে বিড়ম্বনায় মনুষ্য জীবনের গৌরব বৃদ্ধি হয়।

 মুরসিদাবাদে অবস্থিতি কালে তর্কালঙ্কার বেথুন্ সাহেবের মৃত্যু সম্বাদ পান। এই সম্বাদে তিনি শোকার্ত্ত হইয়াছিলেন। কারণ বেথুনের সহিত তাঁহার একটু আন্তরিক সম্বন্ধ ছিল। সাহেব ও বাঙ্গালীর মধ্যে প্রায় সেরূপ থাকে না। তর্কালঙ্কারের কন্যাদ্বয়কে বালিকাকালে বেথুন্ কোলে করিয়া আপনার বাড়ী লইয়া যাইতেন। ইহার পর তিনি কান্দীর সব্ ডিবিসন্ প্রাপ্ত হন। কথিত আছে, তাঁহার ইচ্ছানুসারে তাঁহার জন্যই ঐ সব ডিবিসন্ স্থাপিত হয়। তিনি কান্দীর অনেক উন্নতি করিয়া গিয়াছেন। বালক বালিকার বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয়, অতিথিশালা, পথ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি বিস্তর শ্রম ও যত্ন করিয়াছিলেন। তিনি ডেপুটি মাজিষ্টর ভাবে এসকল করিতে বাধ্য ছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই; কিন্তু তিনি কার্য্যের দ্বারা দেখাইয়া গিয়াছেন যে, লোকের ভাল করিবার ইচ্ছা তাঁহার অন্তরে ছিল। কিছু দিনের পর শুনিলেন, তাঁহার মহকুমার মধ্যে “মাকালতোড়” নামক স্থানে কোন বিশেষ পর্ব্বা-