পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৪
চরিতাষ্টক

নিরাশ্রয় অবস্থায় আশ্রয় দিবে। তাহার জীবদ্দশায় তুমি ও আমার প্রাণসমা কন্যাগণ কোন কষ্ট পাইবে না। ** আমি তোমাদের নিকট এই ভিক্ষা চাই, যেন প্রশান্তভাবে মরিতে পাই,—মৃত্যুর পূর্ব্বে যেন আমায় শয্যা হইতে নামান না হয়।”

 মদনমোহন অনেক গুলি সংস্কৃত গ্রন্থের সংশোধন ও মুদ্রাঙ্কন করিয়াছিলেন। যখন এ দেশে বিশুদ্ধ বাঙ্গালা ভাষার ভত প্রচলন ছিল না, তখন তিনি গদ্য ও পদ্যে উৎকৃষ্ট রচনা শক্তির পরিচয় দিয়াছিলেম। তিনি সংস্কৃত ভাষাতেও অনেক সুমধুর ও সুললিত কবিতা লিখিয়া গিয়াছেন। তাঁহার সংস্কৃত কবিতার অনেক পদ, জয়দেবের “মধুর-কোমল-কান্তপদাবলীর” সদৃশ। কি সংস্কৃত কি বাঙ্গলা উভয়বিধ কবিতার অনেক ছন্দ, রাগরাগিণী ও তালের সহিত সুসঙ্গত করিয়া লিখিয়া গিয়াছেন। তিনি এত অধিক ছন্দের সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন, বোধ হয়, বাঙ্গলা কবির মধ্যে কেহই তদ্বিষয়ে তাহার সমকক্ষ নহে। অথচ ঐ সকল ছন্দই বিশুদ্ধ ও সুমিষ্ট। সুললিত পদ-বিন্যাস ও ছন্দবন্ধ বিষয়ে তাঁহার যাদৃশী ক্ষমতা ছিল, প্রকৃত কবিত্ব প্রকাশে সেরূপ ছিল না। শুনা যায়, তিনি আর একখানি বৃহৎ পুস্তক লিখিয়াছিলেন, মৃত্যুকালে তাহার পাণ্ড‌ুলিপি অপঅপহৃত হয়। তিনি বঙ্গকামিনীগণের জন্য অনেক কষ্ট