পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জজ্ শম্ভুনাথ পণ্ডিত।
২০১

এই পদে রমাপ্রসাদ রায় ছিলেন। শম্ভুনাথ আইনের কুটার্থ সম্বন্ধে বৃথা বাগাড়ম্বর করিয়া শ্রোতৃগণকে বিরক্ত করিতেন না। আইনের উদ্দেশ্য, সদ্বিচার ও সৎযুক্তির সাধারণ নিয়মের উপর সরল ও সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করিতেন। এই জন্য তাঁহার বক্ত‌ৃতার কোন অংশই কখন কাহার অপ্রীতি বা বিরক্তি কর হয় নাই। বিশেষতঃ ফৌজদারী আইনে তার অসাধারণ পারদর্শিতা ছিল। ঐ আইনের সূক্ষ্মতকে তাঁহাকে কেহই পারিয়া উঠিতেননা। তাঁহার আইনের অভিজ্ঞতা গবর্ণমেণ্ট এমন উত্তম রূপে বুঝিয়াছিলেন যে, তাঁহাকে ১২৬৫ সালে কলিকাতাস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাশাস্ত্রের অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। তিনি উত্তমরূপে দুই বৎসর কাল এই কার্য্য নির্ব্বাহ করিয়াছিলেন। ১২৬৯ সালে যখন কলিকাতার সদর দেওয়ানী আদালত উঠিয়া গিয়া তৎপরিবর্ত্তে হাইকোর্ট নামক উচ্চতম আদালত স্থাপিত হয়, তখন ঐ আদালতে একজন এতদ্দেশীয় বিচারপতি নিযুক্ত করা গবর্ণমেণ্টের অভিপ্রেত হইলে বিখ্যাত রাজা রামমোহন রায়ের পুত্র রমাপ্রসাদ রায় ঐ পদে মনোনীত হন; কিন্তু বিচারাসনে উপবেশনের পূর্ব্বেই তাহার মৃত্যু হওয়ায় শম্ভ‌ুনাথই ঐ পদ প্রাপ্ত হইলেন। তিনি এই উন্নত পদে নিযুক্ত হওয়াতে দেশীয় বিদেশীয় সকলেই প্রীত হইয়াছিলেন।