পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাণেশ্বরবিদ্যলঙ্কার।
১৫

তাহার অনুলিপি অদ্যাপি তাঁহার বংশীয়দিগের গৃহে আছে।

 রামকান্তের দুই একটা কথা বলিতে আমরা প্রতিশ্রুত আছি। রামকান্ত প্রায়ই বিদ্যালঙ্কারের সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণনগরের রাজসভায় অবস্থিতি করিতেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায় তাঁহারও যথেষ্ট সমাদর করতেন। বিশেষতঃ তাঁহার কথা শুনিতে রাজার বিলক্ষণ আমোদ ছিল। যখন তখন তাঁহার সহিত কথোপকথন করিতেন। এক দিন রামকান্ত বলিলেন, “মহারাজ, পেয়ে যে সম্ভষ্ট হইয়াছি, না পেলে তারও তুষ্ট হই।” প্রথমে কেহই কিছু বুঝিতে পারিলেন না। পরে জানিলেন, রামকান্ত জ্যেষ্ঠের সহিত গৃহ গমনে কৃতসঙ্কল্প হইয়া আবশ্যক যাবতীয় দ্রব্য পাইয়াছেন, এখন এক খানি নৌকা পাইবার প্রার্থনা করিতেছেন। অন্য এক দিন কহিলেন; “মহারাজ! বলিলে বলা যায়; না বলিলে মন ভাঙ্গা থাকে।” রাজভাণ্ডার হইতে বিদ্যালঙ্কার ও রামকান্ত প্রতিদিন এক মন তণ্ড‌ুলের সিধা পাইতেন। এক জন চাকর ঐ সিধা হইতে চাউল চুরি করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। রামকান্ত কিছু দিন এই ক্ষতি সহ্য করিয়া পরে ইহা উপরি উক্ত বাক্যে রাজাকে জানাইয়াছিলেন। রামকান্ত প্রতি নিয়তই এইরূপ হেঁয়ালির ভাষায় কথা কহিয়া আমোদ করিতেন।