পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
চরিতাষ্টক।

পরিস্কৃত রূপে কহিতে পারিতেন। সুতরাং জাহাজীয়দিগের সহিত বিবাদ করার, তাঁহার বেশ সুবিধা ছিল। তাঁহাকে সকল ঋতুতেই নদীমুখে গমন করিয়া জাহাজের দ্রব্যাদির পর্য্যবেক্ষণ করিতে হইত। বস্তার সংখ্যা লইয়া বিবাদের আরম্ভ হইত। প্রায়ই ঘুঁসো ঘুঁসি না হইয়া এ সকল বিবাদের শেষ হইত না।

 এই কার্যের একদিকে যেমন বিবিধ অসুবিধা, অন্য দিকে সেই রূপ লাভের সম্ভাবনা ছিল। কিন্ত‌ু তিনি এরূপ লাভের প্রত্যাশায় কখন অন্যায় পথে পদার্পণ করেন নাই। নদীমুখে গমনোপলক্ষে তিনি মধ্যে মধ্যে বিপদে পড়তেন। এক দিন নৌকা ডুবিয়া জলে পড়েন, এবং সাত ক্রোশ পথ সন্তরণ পূর্ব্বক খিদিরপুর গিয়া আত্মরক্ষা করেন। ঐ রূপে আর এক দিন তিনি এবং তাঁহার বন্ধু নন্দকুমার বসু বিপদাপন্ন হইয়া নদীতীরবর্ত্তী কোন ধীবরের গৃহে আশ্রয় লন। ধীবর তাঁহাদিগের শয্যার নিমিত্ত একটি ঝেঁতলা মাত্র প্রদান করে। ঐ শয্যায় শয়ন করিয়া সে রাত্রি তাঁহারা এতাদৃশ সুখানুভব করিয়াছিলেন যে, ঐশ্বর্য্যের সময় তাঁহারা উভয়েই আপন আপন শয্যাতলে সর্ব্বদা ঝেঁতলা ব্যবহার করিতেন। যাহা হউক এই রূপে পুনঃ পুনঃ ডায়মণ্ডহারবারে গমন ও তত্রত্য জাহাজের ব্যাপার দর্শনে তিনি একটি অতি প্রয়োজনীয় গুণ উপার্জ্জন করিয়াছিলেন,