পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৩১

অপিত্তি করিবার কারণ ছিল না। তিনি ইচ্ছানুরূপ লাভ পাইলে নীলাম ফিরাইয়া দিবেন স্বীকার করিলেন। সাহেব অনেক কস কসির পর ১৪,০০০ হাজার টাকার উপর প্রায় লক্ষ টাকা লাভ দিয়া জাহাজ লইলেন।

 যে টাকা দ্বারা এতাদৃশ লাভ হইল, রামদুলালের প্রভু সে টাকার অধিকারী। যদিও মদনমোহন দত্ত স্বপ্নেও দেখেন নাই যে তিনি যে টাকা, কোন দ্রব্য ক্রয়ার্থ নিয়োজিত করিয়াছিলেন, তাঁহার সরকার সেই টাকা দ্বারা তাঁহার নামে এক জাহাজ ক্রয় করিয়াছে, যদিও রামদুলাল এখন এমন অবস্থাপন্ন হইয়া ছিলেন যে, লাভংশ গোপন করিয়া প্রভুর সমস্ত টাকা ফিরাইয়া দিতে পারিতেন; যদিও রামদুলালকে মাসিক দশ টাকা বেতনের জন্য প্রতিদিন বিবিধ বিপদের মুখে পড়িতে হইত; যে প্রলোভনে সামান্য লোককে নিশ্চয়ই বিপর্য্যস্ত করিয়া ফেলে, হঠাৎ বড় মানুষ হইবার সেই প্রলোভন, হতেও প্রচুর পরিমাণে ছিল; তথাপি এ লাভ মদনমোহন দত্ত ভিন্ন অন্য ব্যক্তির হওয়া উচিত কি না! ক্ষণকালের জন্যও এ চিন্তা রামদুলালকে আন্দোলিত করিতে পারে নাই। কারণ তাঁহার ধর্ম্মনীতি অত্যন্ত বলবতী ছিল, তাঁহার অন্তঃকরণ সকল প্রকার প্রবঞ্চনাকেই ঘৃণা করিত। তাঁহার ধর্ম্মনীতির পবিত্রতা বয়সের পরিপাকাবস্থায় একাদৃশ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছিল যে,