পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
চরিতাষ্টক।

তদ্দর্শনে উচ্চশ্রেণীস্থ ইউরোপীয়েরাও লজ্জিত হইতেন।

 যাহা হউক, তিনি প্রাগুক্ত লাভ আত্মসাৎ করিবেন, এক বার মনেও করেন নাই; বরং প্রভুর অনুমতি ব্যতিরেকে তাঁহার অর্থ বিপদে ফেলিয়াছিলেন এবং এই ব্যাপারে তাঁহার দোষী হইবার সম্ভাবনা ছিল; এই রূপ ভাবিয়া অনুতাপিত হৃদয়ে অপরাধীর ন্যায় প্রভুসমীপে গমন করিলেন। কৃতাঞ্জলিপুটে সমুদয় যথাযথ নিদেন করিয়া স্বকীয় অবাধ্যতা প্রযুক্ত ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন। এবং এক তাড়া ব্যাঙ্ক নোট্ তাঁহার চরণে নিক্ষেপ করিলেন। মদনমোহন পরপীড়নকারী সর্ব্বভুক্ ছিলেন না। তিনি ঐশ্বর্য্য-দর্শনসুখ ভোগ করিবার জন্য কোষপূর্ণ করিতেন না; তাঁহার অন্তঃকরণ ঔদার্য্যে পূর্ণ ছিল, তিনি কিয়ৎক্ষণ বিস্মিতভাবে রামদুলালের সরলতা দর্শন ও তাঁহার অসামান্য মহত্ত্ব চিন্তা করিয়া তাঁহাকে আশীর্ব্বাদ পূর্ব্বক কহিলেন;— “রামদুলাল, এ অর্থ তোমার, তোমার সৌভাগ্যই ইহা প্রেরণ করিয়াছে। তুমি বীজ বপন করিয়াছ, তুমিই তাহার ফল ভোগ কর।” রামদুলাল অত্যন্ত আহ্লাদের সহিত এ পুরস্কার গ্রহণ করিলেন। কিন্তু কিয়ৎ কাল তাঁহার মুখ হইতে কোন বাক্য নিঃসারিত হয় নাই। দশ টাকা মাহিয়ানার এক জন সরকারের পক্ষে ইহা কিছু কম ব্যাপার নহে। কিন্তু এতা-