পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৪১

সাহেব পরে ইহা জানিতে পারিলেও, কিছু করিতে পারিতেন না। যাহা হউক সাহেব যখন দেখিলেন যে, তাহার হিসাবে যত টাকা প্রাপ্য; রামদুলাল, তাঁহাকে তদপেক্ষা অধিক টাকা দিতেছেন; তখন তিনি বিস্মিত হইয়া, রামদুলালের ভ্রম হইতেছে কিনা এই বিষয় পুনঃ২ জিজ্ঞাসা করিতে নাগিলেন। রামদুলাল অবিলম্বে তাহার ভ্রম ভঞ্জন করিয়াদিলেন। তখন সাহেব বহু লক্ষ টাকা লাভ করিয়া রামদুলালকে শত ২ ধন্যবাদ দিয়া প্রস্থান করিলেন। রামদুলালের এই সাধুতা সমস্তু স্বদেশে ব্যাপ্ত হইয়া পরিশেষে সমুদ্রে তরঙ্গায়িত হইয়াছিল।

 রামদুলাল নিজে যেরূপ চরিত্রের লোক ছিলেন, তাঁহার সহকারী ও সহচর গণের মধ্যেও দুই একজন সেরূপ লোক দেখা যাইত। কাশীনাথ ঘোষ নামক কোন ব্যক্তি তাঁহার প্রধান সহকারী ছিলেন। তিনি একদা গবর্ণমেণ্টের সুরতিতে ৫০০০০ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। রামদুলাল বন্ধুর সৌভাগ্যে আনন্দ প্রকাশ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তিনি এই টাকা কোন্ কার্য্যে নিয়োজিত করিবেন। কাশীনাথ বলিলেন, ঐ টাকার কেবল চতুর্থাংশ আমার, অবশিষ্ট তিন অংশ, আমার তিনজন মোহরের পাইবেন। কারণ তাঁহাদিগের নিকট ঋণ করিয়া টিকিট্ ক্রয় করিয়াছিলাম। কিন্তু ঐ মোহরের তিনজন ইহার বিন্দু বিসর্গ অবগত ছিলেননা।