পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
চরিতাষ্টক

বোধ হয়, কাশীনাথ কেবল মাত্র আপনার ভাগ্যের উপর নির্ভর না করিয়া, চারিজনের নামে টীকিট ক্রয় করিয়াছিলেন। ইহার মধ্যে একজনের ভাগ্য অবশ্য প্রসন্ন হইবে, তাঁহার মনে এরূপ বিশ্বাস ছিল। রামদুলাল কাশীনাথের সত্যানুরাগ দেখিয়া বিস্মিত হইলেন। এই সকল প্রাচীন বাঙ্গালিদিগের চরিত্র সর্ব্বদা সকলেরই অনুকরণীয়।

 যে জলমগ্ন জাহাজ ক্রয় হইতে রামদুলালের ঐশ্বর্য্য হইতে আরম্ভ হয়, সেই, জাহাজ ক্রয়ের কয়েক মাস পূর্ব্বে মূলা যোড়ের কোন সর্ব্বলক্ষণ সম্পন্না রমণীর সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। বঙ্গদেশে ‘‘স্ত্রী ভাগ্যে ঐশ্বর্য্য ও স্বামী ভাগ্যে পুত্র লাভ হয়।” এইরূপ একটি প্রবাদ আছে। বিবাহের পর হইতেই রামদুলালের অনবরত ঐশ্বর্য্য লাভ হুইতে দেখিয়া ঐ প্রবাদের সত্যতায় লোকের বিশ্বাস হইল। রামদুলাল যেমন অপরিমিত অর্থ উপার্জ্জন করতে লাগিলেন, গৃহিণী সেই রূপ পরিমিত ভাবেই ব্যয় করিতে আরম্ভ করিলেন।

 কোন সময়ে রামদুলাল অনেক বস্তা উৎকৃষ্ট বনাত ক্রয় করিয়াছিলেন। ঐ বনাতের দুই পৃষ্ঠা, ভিন্ন২ রং বিশিষ্ট। বিলাতের সঙ্গে, বঙ্গদেশের বাণিজ্য আরম্ভ হইয়া অবধি এদেশে আর কখন এরূপ বনাতের অমদানি হয় নাই। রামদুলাল ঐ বনাতের একচেটে করিয়া