পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
চরিতাষ্টক

হইয়া কহিলেন, “যদি ইহা বাজার হইতে না আসিল, তবে কি আকাশ হইতে পড়িল?”

 রামদুলাল অনেক ক্ষণ গঢ়রূপে এই বিষয় চিন্তা করিয়া গৃহে গমন করিলেন এবং কোষ পর্য্যবেক্ষণার্থ গমন করিবা মাত্র সব জানিতে পারিলেন। রামদুলাল যখন বনাত বিক্রয়ের লাত গণনা করিতেছিলেন, তখন তাঁহার দয়াশীলা গৃহিণী শীতার্ত্ত ব্রাহ্মণ গণের ক্লেশ ভাবিতেছিলেন। মাঘ মাসের প্রাতঃকালে স্নান করিয়া ব্রাহ্মণেরা কত ক্লেশ পান এবং তৎকালে এই বনাত গায় দিতে পাইলে কত সুখানুভব করেন, রামদুলালের গৃহিণী তখন তাহাই ভাবিতেছিলেন। এইরূপ ভাবিয়া, সেই ধর্ম্মবীরা রমণী একদা স্বামীর, এমন কি দাস দাসী গণের ও অজ্ঞাতে কোষ হইতে কয়েকটা বস্তা বাহির করিলেন এবং স্বহস্তে এক২ খণ্ড চার কাটিয়া প্রতিবেশবাসী এক শত ব্রাহ্মণকে দান করিলেন। রামদুলাল সেই সকল ব্রাহ্মণকেই বনাত গায় দিয়া যাইতে দেখিয়াছিলেন। যাহা হউক, তিনি এই বিষয় অবগত হইয়া স্ত্রীকে একটা কথাও বলিলেন না। রামদুলাল যেমন মহানুভব, স্ত্রীও সর্বাংশে তাঁহার অনুরূপ ছিলেন। তাঁহার অজ্ঞাতে এই স্ত্রী কর্ত্তৃক যে মহৎ কার্য্যের আরম্ভ হইয়াছিল, তিনি পর দিন প্রাতে তাহা সম্পূর্ণ করিলেন; সেই মূল্যবান ও উৎকৃষ্ট