পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৪৭

দুর্ব্বাক্য দ্বারা স্ত্রীর মনে ব্যথা দিয়া পরিশেষে স্বয়ং যার পর নাই ক্ষুব্ধ ও অনুতাপিত হইলেন। যাহা হউক, অনেক যত্নে এবং নগদ একলক্ষ টাকা দিয়া তাহাকে শান্ত করলেন।

 ঐ রমণীর চরিত্র পাঠে বোধ হয়, তিনি যেন কোন উৎকৃষ্ট কাব্যের কল্পিত নায়িকা। বাস্তবিক তাদৃশী নারী জীবিতা ছিলেন কিনা সন্দেহ উপস্থিত হয়। একদা কোন ব্যক্তি তাঁহার রত্নাভরণ চুরি করিয়া ধৃত হয়। তিনি, চোর নিতান্ত জ্বালায় না পড়িয়া চুরি করে নাই, এইরূপ অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়া সমস্ত স্তেয়ের সহিত তাহাকে ছাডিয়া দিতে আদেশ করিলেন। রামদুলালের স্ত্রীর চরিত্র সম্বন্ধে এইরূপ আখ্যান অনেক আছে; কিন্তু সংক্ষিপ্ততা এই গ্রন্থের একটি উদ্দেশ্য বলিয়া সে সকল পরিত্যক্ত হইল। কেবল যে সকলের সহিত রামদুলালের সংস্রব আছে, সেই রূপ দুই একটা অখ্যায়িকা লিখিত হইয়াছে; এবং পরে আবশ্যক হইলে আরও দুই একটি লিখিত হইবে।

 রামদুলাল দারান্তর গ্রহণে বাধিত হইয়াছিলেন, যেহেতু তাঁহার প্রথম স্ত্রীর গর্ভে একটী কন্যা এবং অন্ধ পুত্র মাত্র জম্মিয়া ছিল। ঐ অন্ধ পুত্রটাও সাত বৎসর বয়সে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এই সময়েই তাঁহার ঐশ্বর্য্য আরও অধিক বাড়িয়া উঠে। তাঁহার প্রথমা ও প্রিয়তমা