পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
চরিতাষ্টক

দিলেন। কাশীনাথ, তাঁহার পরামর্শানুরূপ কাজ করিতে অসমর্থ, এই অভিপ্রায় প্রকাশ করায়, তিনি নিজ ব্যয়ে কাশীনাথের যাবতীয় নিম্ন-ভিত্তি রচনা করিয়া দিলেন। উহাতে তাঁহার প্রায় ৫০০০ পাঁচ হাজার টাকা ব্যয় হয়।

 বরফ প্রস্তুত করিবার জন্য বর্ণ-হীন শরাবে জল রাখিয়া শীতকালের রজনীতে উপযুক্ত স্থানে রাখা হয়। কখন ২ ঐ জল উপযুক্ত পরিমাণে শীতল হইয়াও কঠিন হয় না। হটাৎ জলটী নাড়িয়া দিলে তৎক্ষণাৎ জমিয়া। যায়। রামদুলালের চরিত্রে ঠিক এইরূপ একটি উদাহরণ আছে। যেন তাঁহার মন, একটি মহৎ কার্য্য সাধনে উন্মুখ হইয়াও কোন অপরিজ্ঞাত কারণে তাহা হইতে নিবৃত্ত ছিল; পরে একটি আকস্মিক ঘটনাসূত্রে কার্য্য সাধনে প্রবৃত্ত হইল। তিনি একদিন আপন বাড়ীর খোলা ছাদে বসিয়া আছেন। কাশী সরকার নামক একজন বাতুল আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহার পিতার নামও রামদুলাল সরকার। এ রামদুলাল, নুতন রামদুলালের পূর্ব্বতন অধিবাসী। প্রতিবেশীগণ, নূতন রামদুলাল হইতে পৃথক্ করিবার জন্য তাহাকে পচা রামদুলাল বলিত। বাতুল ক্রোরপতিকে কহিল,— “রামদুলাল, ও—রামদুলাল, তুমিই আমার পিতাকে পচা রামদুলাল করিয়াছ। তুমি খ্যাতি ও সম্পত্তি উপার্জন করিয়াছ। এই দিকে দেখ! দেখি! আমার পদতলে কি?”