পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৬৫

আছে।” তিনি মদনমোহন দত্তের বংশীয় বলিয়া কালী প্রসাদকে, প্রাণপণ যত্নে এবং তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করিয়া জাতিতে তুলিলেন।

 রামদুলাল কোন্ কালে মৃত্যুর কন্দরে লুক্কায়িত হইয়াছেন, কিন্তু, তাঁহার কীর্ত্তি কলাপ অদ্যাপি দেদীপ্যমান রহিয়াছে। তিনি কালী প্রসাদ দত্তের উদ্ধারার্থ যাহা করিয়াছিলেন, তাহা, অহঙ্কার বা ঐশ্বর্য্য প্রদর্শনার্থ নহে। কেবল মনুষ্যোচিত দয়া ও কৃতজ্ঞতার উত্তেজনাই তাহার প্রধান কারণ। কেহ ২ বলেন অহঙ্কার তাঁহার প্রকৃতিতে ছিলনা। একেবারে ছিলনা, একথায় আমাদের বিশ্বাস হয় না। কারণ একটী নির্দ্দিষ্ট সীমা বিশিষ্ট অহঙ্কার না থাকিলে মানুষ সংসারী হইতে পারে না। অহং—কার, অর্থাৎ আমি কর্ত্তা, যাঁহার কিয়ৎ পরিমাণে এজ্ঞান না থাকে, তিনি নিশ্চেষ্ট পরম হংস। কোন সংসারী ব্যক্তিকে আমরা সে পরমপদ দিতে প্রস্তুত নহি। তবে অহঙ্কার, আত্ম-গৌরব ইত্যাদি নিকৃষ্ট বৃত্তি সকল তাঁহার খুব কম ছিল। মেথর দিগের ঘৃণিত ব্যবসায়ের বিষয় সকলেই অবগত আছেন। গৌরা নামক নিজ বাটীর মেথরের শ্রাদ্ধ কালে রামদুলাল স্বয়ং তাহার বাটী গিয়া শ্রাদ্ধের তত্ত্বাবধান করেন এবং ঐ শ্রাদ্ধোপলক্ষে গৌরার পুত্রকে ১০০০ এক হাজার টাকা দেন। অহম্মুখেরা এরূপ কাজ করিতে পারেন না।