পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
চরিতাষ্টক

 “যোগ্যং যোগ্যেন যুজ্যতে—” এই মহাবাক্যের নিদর্শন প্রদর্শনার্থই যেন রামদুলালের প্রথম বিবাহ হইয়াছিল। তাঁহার প্রথম পত্নীর চরিত্রেও উপরি উক্ত রূপ ঔদার্য্য দেখা যাইত। গৃহিণী একবার শ্রীক্ষেত্র গমন করেন। পূর্ব্বোক্ত গৌরা তাঁহার সঙ্গে যায়। শ্রীক্ষেত্রের যাত্রিগণ সেই পবিত্র পুরীতে গমন করিয়া এককালে জাতি গৌরব পরিত্যাগ করে। হিন্দুধর্ম্মের কিচমৎকার প্রণালী! তথায় সকলে চির পোষিত কুসংস্কারও জাত্যভি মান ত্যাগ করিয়া এক পিতা মাতার সন্তানের ন্যায় পরস্পর ব্যবহার করে। বিশেষতঃ হিন্দু মলিহাগণের ধর্ম্মানুরাগ এত প্রবল যে, তাঁহারা জীবনকালে যতই কেন কুসংস্কার জালে জড়িত থাকুননা উপযুক্ত কালে কিছুই প্রতি বন্ধক হয়না। গৌরা তাঁহাকে কহিল;—“জননি, নিতান্ত নীচ কার্য্যে আমার এজীবন নিযুক্ত আছে। এই পবিত্র ভূমি ত্যাগ করিলে, আমি আর আপনার নিকটেও আসিতে পারিবনা। অতএব আমাকে এই স্থান-মাহাত্মের অনুসরণে অনুমতি করুন। আমার যে হাত, চিরকাল আপনার কার্য্য করিয়া অশুচি হইয়াছে সেই হাতে এখানকার পবিত্রান্ন আপনার মুখে প্রদান করিতে অনুমতি করুন।” ভিন্নধর্ম্মাবলম্বিনী সুসভ্য রমণী গণ এমন অবস্থায় মেথরের অশিষ্টাচার নিবন্ধন অসন্তুষ্ট হইতেন এবং হয়ত,