পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৬৭

তাহাকে কশাঘাতের বন্দ বস্তও করিতেন। কিন্তু ঐ ধর্ম্মবীরা হিন্দু রমণী স্মিত-মুখে অসঙ্ক‌ুচিত ভাবে গৌরদত্ত মহাপ্রসাদ গ্রহণ করিলেন।

 কোন সময়ে রামদুলালের কতক গুলি প্রজা রাজস্ব দানে অসমর্থ হওয়ায় মফঃসাল হইতে তাঁহার নিকট প্রেরিত হইয়াছিল। রামদুলাল তাহাদিগের শরীর ও পরিচ্ছদে দারিদ্র ও দুর্গতির স্পষ্ট লক্ষণ দৃষ্টি করিয়া মনে বড় কষ্ট পাইলেন। তাহাদিগকে উত্তমরূপে আহার করাইতে এবং সকলকে এক ২ খানি নূতন বস্ত্র দান করিতে দেওয়ানের প্রতি আদেশ দিলেন। “যতই কেন ক্ষতি হউক না, কল্য সূর্য্যোদয়ের মধ্যে এই জমিদারি বিক্রয় করিয়া ফেলিব।” এই অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়া দালাল গণকে ক্রেতা উপস্থিত করিতে আদেশ করিলেন। পুত্রগণকে শফথ্ কৱাইলেন যেন কস্মিন্ কালে তাঁহারা জমিদারী ক্রয় না করেন। তিনি বণিক্ ছিলেন, বাজারের গতিক বুঝিয়া অর্থোপার্জ্জন করিতে পারিতেন, প্রজার হৃদয় শোষণ করিতে জানিতেননা। জমিদার হইলে তাঁহার মঙ্গল হইবে না, ইহা যেন তিনি বুঝিয়াছিলেন। পরে তাহার প্রমাণও পাওয়া গিয়াছে। মেদিনীপুরের অন্তর্গত নাড়জোলনামক একটী জমিদারী, বন্ধক সূত্রে তাঁহার পুত্রেরা ক্রয় করিয়াছিলেন। ঐ জমিদারী রক্ষা করিতেই তাঁহাদের সর্ব্বনাশ হইয়া গিয়াছে।