পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮
চরিতাষ্টক

 সত্য প্রিয়তা ও বাঙ‍্নিষ্ঠাই তাঁহার তাদৃশী উন্নতির প্রধান সহায়। তাঁহার সময়ে মুচ্ছদ্দি দিগের বেতন ছিল। তাঁহারা টাকা প্রতি দুই পাই দস্তুরি পাইতেন। এই দস্তুরি হইতেই তাহারা অতুল বিভব উপার্জ্জ্বন করিয়া যাইতেন। রামদুলাল এই রূপে প্রচুর অর্থ উপার্জ্জ্বন করিয়াছিলেন। তাঁহার ধনবত্তার পরিচয়, পূর্ব্বে অনেক দেওয়া গিয়াছে। আর একটী এই, ক্রীত দ্রব্যের মূল্য স্বরূপে তিনি প্রতিদিন প্রায় তিন লক্ষ টাকার বরাত চিটি মহাজন দিগকে দিতেন। মহাজনেরা তাঁহার ব্যাঙ্কের উপর ঐ বরাত দিয়া টাকা লইত। রামদুলাল কত টাকার মানুষ, পরীক্ষা করিবার জন্য মহাজনেরা একদিন পরামর্শ করিল। প্রতিদিন টাকা না লইয়া প্রায় একসপ্তাহের বরাত চিঠি একদিনে রামদুলালের ব্যাঙ্কে উপস্থিত করিল। তিনি ইহা কিছু পূর্ব্বে জানিতে পারিয়া অন্যূন ২৫০০০০০ পঁচিশ লক্ষ টাকা ব্যঙ্কে পাঠাইয়া দেন। মহাজনেরা ব্যাঙ্কে এই টাকার রাশি দেখিয়া বিস্মিত হইয়া গেলেন। মহাজনের বরাত চিঠি দিয়া টাকা না পাইলে তাঁহার সত্যনিষ্ঠায় সংশয় করিবে, এই সংশয় হইতে সম্ভ্রমের হানি, এবং সম্ভ্রমের হানি হইতে কি নিজের কি মার্কিন হাউসের কার্য্য বিশৃঙ্খলা হইবে। সর্ব্বদা এইরূপ দূরদর্শনের সহিত কাজ করায় সকল কার্য্যে অসাধারণ কৃতকার্য্যতা লাভ করিয়াছিলেন।