রামদুলাল যাহা কিছু করিয়া গিয়াছেন, সকলই অদ্ভুত। বেতন, প্রাচীন আমলাদিগের বৃত্তি প্রভৃতিতে তিনি মাসে ১৫০০০ হাজার টাকা ব্যয় করিতেন। তিনি ২২২০০০ দুইলক্ষ বাইশ হাজার টাকা ব্যয় করিয়া কাশীতে —এয়োদশটা শিব-মন্দির প্রতিষ্ঠিত করেন। পাঁচ দিন ধরিয়া কাঙ্গালী বিদায় হয়। এই কার্য্যোপলক্ষে তাঁহার গৃহিণী স্বর্ণাদি ধাতু দ্রব্যের সহিত তুলিত হইয়াছিলেন। উহা তত্রত্য অধ্যাপক গণকে দান করা হয়।
ঐ ক্রোর পতির শ্রমশক্তি অত্যন্ত অধিক ছিল। পূর্ব্বে কথিত হইয়াছে, তিনি ইংরাজী ভাষায় উত্তমরূপে কহিতে পারিতেন, কিন্তু বর্ণাশুদ্ধি নিবন্ধন ইংরাজী লিখিতে পারিতেন না। কাজের গোলে, সে অভাবের পুরণ করিয়াও উঠিতে পারেন নাই। তাহার প্রতীভা কোন রূপেই প্রতিহত হইতনা। বাঙ্গালা অক্ষরে ইংরাজী পত্র লিখিতেন, কেরাণীরা তাহা ইংরাজী অক্ষরে পরিবর্ত্তিত করিয়া লইত। তিনি প্রতিদিন মধ্যরাত্র পর্যন্ত লেখাপড়া করিতেন। রামদুলালের স্বহস্ত লিখিত, একখানি দৈনিক বিবরণ ছিল, সেখানি পাওয়া গেলে তাঁহার চরিত্রের অনেক গুঢ় বিষয় জানা যাইত।
যে পীড়ায় রামদুলালের মৃত্যু হয়, তাঁহার ৬৯ বৎসর বয়ঃক্রম কালে তাহার সূত্রপাত হইয়াছিল। ঐ পীড়ার নাম বাতব্যাধি। একদিন লিখিতে২ হঠাৎ ঐ পীড়া