পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোবিন্দচন্দ্র চক্রবর্তী।
৭৫

করিয়া বিবিধ কীর্ত্তিকলাপ দ্বারা চিরস্মরণীয় হইয়া গিয়াছেন; ইতিহাসে পাঠ না করিলে ইহা কি রূপে বিশ্বাস করা যাইতে পারে? যেরূপ শুনা যায়, তাহাতে ঐ বাঙ্গালীর পদ, উপরি উক্ত মুসলমান রাজপুৰুষ গণের পদ অপেক্ষাও উচ্চতর ছিল বলিয়া বােধ হয়। হয়, গােবিন্দ চক্রবর্তীর জীবন-চরিত সম্বন্ধে বঙ্গদেশীয় জনশ্রুতি মিথ্যা বলিতে হয়, নয়, মুসলমান লেখক, ইতিহাস হইতে বাঙ্গালীর নাম পরিত্যাগ করিয়াছেন ইহাই স্বীকার করিতে হয়। এই উভয় তর্কের মধ্যবর্ত্তী হইয়া সিদ্ধান্ত করিলে বােধ হয়, যে, গােবিন্দ চক্রবর্ত্তীর যাদৃশ উচ্চ পদের গল্প শুনা যায়, বাস্তবিক তাদৃশ পদ তাঁহার হয় নাই। ফলতঃ যেমন শুনা যায় সেরূপ না হইলেও, যখন ডেঃ গবর্ণর রাজা রাজবল্লভ, পেস্কার দর্পনারায়ণ প্রভৃতি দেশীয় গণের নাম ইতিহাসে দষ্ট হয়; তখন বাঙ্গালা, বিহার, উড়িষ্যার “ক্রোরীয়ান্” বলিয়া খ্যাত গােবিন্দ চক্রবর্তীর বিষয় বাঙ্গালার ইতিহাসে বিবৃত হওয়া নিতান্তই উচিত ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। যাহা হউক, যখন ইতিহাসে কোন প্রমাণ নাই, তখন কেবল মাত্র জনশ্রুতির উপর নির্ভর করিয়াই, গােবিন্দ চক্রবর্ত্তীর জীবন-চরিত-সম্বন্ধীয় আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতে হইল।

 নবাব সাইস্তাখাঁর সময়ে কামারকুলিতে এক ঘর দুঃখী বৈদিক ব্রাহ্মণের বাস ছিল। সাধ্বী স্ত্রী এবং ৭।৮