পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার।

সাধনের তারতম্য হইয়া থাকে। বুদ্ধি, মেধা, শ্রমশক্তি প্রভৃতি গুণগ্রাম, যাহার যত অধিক, সে তত অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা গ্রহণে কৃতকার্য্য হয়। এই কারণে বিদ্যালয়ের বালকগণের মধ্যে, কোন নির্দিষ্ট বিষয়, কাহাকে বা শীঘ্র, কাহাকে বা বিলম্বে শিখিতে দেখা যায়। যে বিষয় শিখিতে সচরাচর যত শ্রম ও সময়ের প্রয়োজন; কাহাকে অপেক্ষাকৃত অল্প শ্রম ও সময়ে সেই বিষয়ে কৃতকার্য্য হইতে দেখিলে সামান্য লোকে সেইরূপ কৃতকার্য্যতাকে দৈব বিদ্য বলিয়া প্রতিপন্ন করে। বিশেষতঃ বঙ্গবাসিগণের প্রকৃতিই এইরূপ যে, কোন ব্যক্তিতে একটু কিছু অসাধারণ দেখিলেই তাহাতে বস্তু[১] আছে বলিয়া সিদ্ধান্ত করেন। বোধ হয়, এই কারণেই কালিদাস, শ্রীধর, বাণেশ্বর প্রভৃতি অসাধারণ শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিগণের বিদ্যা, দৈবলব্ধ বলিয়া লোকে খ্যাত হইয়াছে। এইরূপে দৈবশক্তির উপর নির্ভর করিয়া প্রকৃত কারণের অনুসরণ না করতেই পূর্ব্বোক্ত ব্যক্তিগণের শিক্ষা বিবরণ দুষ্প্রাপ্য হইয়াছে। বাণেশ্বরের দৈব বিদ্যার নিম্নলিখিত রূপ জনশ্রুতি পাওয়া যায়।

 ঘরে ঘরে মন্ত্রগ্রহণ করা গুপ্তপল্লীর শোভাকরবংশের চিরাচরিত রীতি। কিন্তু বাণেশ্বর স্বপ্নে এইরূপ আদিষ্ট


  1. দেবাবেশ।