পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গােবিন্দচন্দ্র চক্রবর্ত্তী।
৮৫

প্রচলিত আছে। যাহা হউক, একজাতির মধ্যে এইরূপ অমূলক ভিন্নতা থাকায় অনেক অনিষ্ট হইতেছে। এই তিন শ্রেণীর মধ্যে বিবাহাদি সম্বন্ধ প্রচলিত হইলে ব্রাহ্মণ জাতির অনেক মঙ্গল হইতে পারে। এই তিন শ্রেণী একত্র হইলে কিরূপ মঙ্গল হইতে পারে এবং পৃথক্ থাকায় কি অনিষ্ট হইতেছে, তাহার সূক্ষম বিচার, এগ্রন্থের উদ্দেশ্য নহে। যাহা হউক, এই তিন শ্রেণীকে একত্রিত করিবার জন্য গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী সবিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি নিজে তিন শ্রেণীতে বিবাহ করিয়াছিলেন। তাঁহার তিন পত্নীর সন্তান হইয়াছিল। কিন্তু বৈদিকীপত্নীর গর্ভজাত সন্ততিগণ ব্যতীত, আর কেই জীবিত ছিল না। তাঁহার অপর সন্তানেরা জীবিত থাকিলে এবং পরবংশীয়েরা এই নুতন প্রণালী প্রচলিত করিবার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করিয়া আসিলে কোন ফল হইত না এ কথা বলা যায় না। ফলতঃ গোবিন্দের এই চেষ্টা ফলবতী হয় নাই। তিনি মৃত্যু কালে দুই পুত্র রাখিয়া যান। জ্যেষ্ঠের নাম রূপরাম, কনিষ্ঠের নাম মুকুটরাম। বোধ হয়, কর্ম্মসূত্রে, রাজসংসার হইতে রায় উপাধি পাইয়াছিলেন। এইজন্য তাঁহার পরবংশীয়েরা রায় উপাধিতেই খ্যাত হন।

 কথিত আছে, একদা আহ্নিক করিতে২ হঠাৎ গোবিন্দের মৃত্যু হয়। তিনি যোগাসনে উপবিষ্ট, তাঁহার