পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
চরিতাষ্টক

ছিন্ন মস্তক গৃহ ভলে পতিত, শরীর রুধিরাভিষিক্ত হইতেছে; তৎকালীন পরিজনেরা, তাঁহার এইরূপ পরিণাম দেখিয়াছিলেন। যাঁহারা তাঁহার এইরূপ মৃত্যুতে বিশ্বাস করেন, তাঁহারা বলেন, গোবিন্দ চ্ছিন্নমস্তার মন্ত্রে দীক্ষিত ছিলেন; এইজন্য তাহার ঐ রূপে মৃত্যু হইয়া ছিল। তন্ত্রের রহস্য উদ্ভেদ করা সহজ ব্যাপার নহে। পুরাণে প্রথিত আছে, মহারাজ লঙ্কাধিপতি আপনার ছিন্ন মস্তক দ্বারা ইষ্টদেবের প্রীতি সাধন করিয়াছিলেন। গোবিন্দের ইষ্টদেব পূজাও সেইরূপ কিনা, নিশ্চয় বলা যায় না। এরূপ মৃত্যুর বহুবিধ হেতু কল্পনা করা যাইতে পারে। কোন কারণ বশতঃ একজন মুসলমান - নবাবের সহিত তাঁহার বিবাদ হইয়াছিল, এরূপ শ্রুত আছে। সেই নিষ্ঠ‌ুর নবাবের ষড়যন্ত্রে গোবিন্দের তাদৃশী মৃত্যু ঘটিতে পারে। অথবা তাঁহার যে কার্য্য করিতে হইত, তাহাতে এতদ্দেশীয় তৎকালীন রাজগণের সহিত মনোবাদ হইবার সম্ভাবনা ছিল। কিম্বা যে গুরুর প্রসাদে তাঁহার তাদৃশী উন্নতি হইয়াছিল, সেই গুরুর বাক্য সার্থক করিবার জন্য আত্ম-ঘাতের প্রবৃত্তি হওয়াও নিতান্ত অসম্ভব নহে। সুজা উদ্দৌলার রাজ্য আরম্ভের কিছু পূর্ব্বে এই ঘটনা সংঘঠিত হয়।

 গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী বঙ্গদেশে মুকুট রায় বলিয়া খ্যাত; নিম্নে তাঁহার এইরূপ খ্যাতির কারণ নির্দ্দেশ করা যাই-