পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গােবিন্দচন্দ্র চক্রবর্ত্তী।
৮৯

ভাবক বালকের ন্যায় তালগাছে উঠিয়া বিপদে পড়িতে হয় নাই; তাঁহাকে সন্ন্যাসীর শিষ্য হইয়া দেশে২ ভ্রমণ করিতে হয় নাই। তাঁহাকে পরান্নভোজী হইয়া স্বজন শূন্য দূরদেশে থাকিয়া লেখা পড়া শিখিতে হয় নাই। তাঁহাকে হঠাৎ উচ্চপদ লাভের, বিষম-সঙ্কট সকল অতিক্রম করিতে হয় নাই। তিনি একেবারেই নির্ব্বিঘ্নে বড়লোক হইয়া কার্য্য ক্ষেত্রে প্রবেশ করিবার অবসর পাইয়া ছিলেন। এইজন্যই তাঁহার অধিকতর যশঃ সর্ব্বত্র বিকীর্ণ হইয়াছিল। এইজন্যই তাঁহার আড়ম্ববানু গামিনী খ্যাতিতে, পিতৃ-কৃত্য পর্যন্ত বিলীন হইয়াছিল। এইজন্যই, গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী, এদেশে মুকুটরাম রায়। বলিয়া খ্যাত হইয়াছিলেন।

 “নবদ্বীপ অঞ্চলের কে একজন, প্রতিজ্ঞা পূর্ব্বক সন্ন্যাসীর সঙ্গে বিদেশে গিয়া বড়লোক হইয়া আসিয়াছে।” ইত্যাদি সম্বাদ তাঁহার বাল্য বিবরণের সহিত প্রথমে সর্ব্বত্র প্রচারিত হয়। সেই ব্যক্তির অধ্যবসায়, আত্মবিলম্বন, সদাশয়তা প্রভৃতি ক্রমে প্রচারিত হওয়ায় “লোকটি কে?” জানিবার জন্য সকলেরই ইচ্ছা হইতে পারে; কিন্তু তৎকালে এদেশে মহৎ ব্যক্তির জীবন-চরিত অনুসন্ধানের প্রকৃত রীতি প্রচলিত না থাকায়, মুকুটরাম রায়ই, অনুসন্ধিৎসুগণের চক্ষে পতিত হইলেন। যেহেতু গোবিন্দ তাহার অনেক পুর্ব্বে অনধিক চারি পাঁচ