এইজন্যই, প্রূসিয়ান্ রাজমন্ত্রী কাউণ্ট বিস্মার্ক জর্ম্মনির ক্ষুদ্ররাজ্য সকলকে একীভূত করিয়া তাদৃশ প্রাধান্য লাভ করিয়াছেন। এইজন্যই বুদ্ধাবতার সকল জাতিকে একত্র একান্ন[১] ভোজন করাইয়া এত মাহাত্ম্য লাভ করিয়াছেন। এবং এইজন্যই আমরা গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীকে মহৎ ও সদাশয় বলিতে অধিকার লাভ করিয়াছি। এস্থলে কেহ যেন এমন মনে করিবেন না যে, গোবিন্দ উপরি উক্ত মহাত্ম-গণের সহিত সর্ব্বাংশে তুলিত হইলেন। কেবল কার্য্যগত আংশিক সাদৃশ্য হেতুই এস্থলে তাঁহার নাম গৃহীত হইতেছে।
পূর্ব্বে বলা হইয়াছে, তিনি রাঢ়ীয়, বারেন্দ্র ও বৈদিক এই তিন শ্রেণী-সন্নিবিষ্ট ব্রাহ্মণ বর্ণের একীকরণে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। ইহাই তাঁহার সদাশয়তা ও মাহাত্ম্যের পর্যাপ্ত প্রমাণ। সুনীতি শিক্ষা করা এবং উৎকৃষ্ট কার্য্যের “প্রস্তাব” করা, অপেক্ষাকৃত সহজ! আমরা কেবল তাহাতেই পণ্ডিত। বাল্যবিবাহ ও বহু বিবাহ রহিত করা, ধর্ম্মবিষয়ে স্বাধীন চিন্তা করা, ইচ্ছানুরূপ ব্যবসায়ে বুদ্ধি চালনা করা ইত্যাদি বিষয়ে কাহার অমত নাই; অন্যকে এই সকল কার্য্যে উপদেশ দান করিবার জন্য সভা, সমাজ, সম্বাদপত্র, গ্রন্থপ্রণয়নের ছড়াছড়ি হইতেছে।
- ↑ শ্রীক্ষেত্রের, সকল জাতির একত্রে অন্নগ্রহণ প্রণালী, বুদ্ধদেব প্রবর্ত্তিত।