বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধম্মপদ (চারু চন্দ্র বসু).djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|o/o টীকা বিরচন করেন। তিনি প্রত্যেক শ্লোকের ব্যাখ্যার সঙ্গে সঙ্গে এক একটা উপাখ্যান উল্লিখিত করিয়াছেন । কথিত আছে, স্বয়ং বুদ্ধদেব ঐ সকল উপাখ্যান তাহার শিষ্যগণের নিকট বর্ণন করিয়াছিলেন। বৌদ্ধগণ বলিয়া থাকেন, বুদ্ধের নির্বাণের অব্যবহিত পরে, রাজগৃহ নগরে প্রথম বোধিসঙ্গম কালে ধৰ্ম্মপদগ্রন্থ বিরচিত হইয়াছিল। খ্ৰীষ্টীয় ৫ম শতাব্দীর প্রারম্ভে বুদ্ধঘোষের আবির্ভাব হয়। তিনি ধৰ্ম্মপদের টাকা লিখিতে যাইয়া বলিয়াছেন, ধৰ্ম্মপদগ্রন্থে যাহা আছে, উহা সমস্তই বুদ্ধের উক্তি। প্রথম বোধিসঙ্গমকালে ঐ সমস্ত উক্তি গ্রন্থাকারে সংগৃহীত হইয়াছিল। অধ্যাপক মোক্ষমূলর বলেন, বুদ্ধষোষ স্বীয় টকায় ধৰ্ম্মপদের মূল শ্লোক সমূহের বহু পাঠান্তর উল্লিখিত করিয়াছেন । যে সকল্প হস্তলিখিত পুস্তক হইতে ঐ পাঠান্তর সমূহ উদ্ধত হইয়াছিল ঐ সকল পুস্তকের প্রতিলিপি বক্তগামনির রাজত্বকালে খ্ৰীষ্টপূৰ্ব্ব ৮৮–৭৬ অব্দে প্রস্তুত হয় । খ্ৰীষ্টীয় ৪১০—৪৩২ অব্দে মহানাম নামক পণ্ডিত “মহাবংস” নামে সিংহলের এক ইতিহাস রচনা করেন। প্রথম ৩৭ অধ্যায় মহানামের রচিত। এই ৩৭ অধ্যায়ে বর্ণিত আছে, বুদ্ধঘোষ মগধ হইতে সিংহলের অন্তর্গত অনুরাধপুর নগরে গমন করেন এবং সিংহলীয় অখকথা । ( অর্থ-কথা ) পালিভাষায় অনুবাদিত করেন । “মহাবংস”গ্রন্থে বুদ্ধঘোষের জীবনচরিত সংক্ষেপে বর্ণিত আছে। মগধের বোধিক্রম সমীপে এক ব্রাহ্মণ যুবক বাস করিতেন । তিনি সমগ্র বিদ্যায় ও সমগ্র কলায় সুনিপুণ ছিলেন ও বেদত্ৰয় সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করিয়াছিলেন । তিনি একদা রেবত নামক একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর সহিত তর্কে প্রবৃত্ত হন, এবং পরাজিত হইয়া বিজেতার ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । উক্ত ব্রাহ্মণের স্বরবুদ্ধদেবের স্তায় ওজস্ব ও সুমধুর।