পাতা:ধম্মপদ - সতীশচন্দ্র মিত্র.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১২২

ধম্মপদ।

উৎপত্তি লয়ের চিন্তা করেন সেজন
তখন নির্ব্বাণ প্রাপ্ত মানবের মত
প্রীতি ও প্রমোদে তিনি হন বিমোহিত॥১৫॥
সংযত রাখিবে সদা ইন্দ্রিয় আপন,
চিত্তের সন্তুষ্টি যেন না যায় কখন,
পালন করিবে যত ধর্ম্মের শাসন,―
আদিম কর্ত্তব্য এই ওহে ভিক্ষুগণ!
বিশুদ্ধ ভাবেতে যায় জীবন যাহার
কুশল বর্দ্ধক যিনি অনলস আর,―


    জগতের যাবতীয় জ্ঞান যে পঞ্চ শ্রেণীতে বিভক্ত করা হইয়াছে তাহারই নাম পঞ্চস্কন্ধ। উহাদের নামঃ―রূপস্কন্ধ, বেদনাস্কন্ধ, সংজ্ঞাস্কন্ধ, সংস্কারস্কন্ধ ও বিজ্ঞানস্কন্ধ। প্রত্যেক সজ্ঞান জীবের যাবতীয় গুণ এই পঞ্চস্কন্ধের অন্তর্ভূত। যখন কেহ দেহত্যাগ করে তখন তাহার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চস্কন্ধ বিনাশ প্রাপ্ত হয়। কিন্তু পুনরায় কর্ম্মবলে একদল নবস্কন্ধ সঞ্জাত হয় এবং এক নূতন জীবের আবির্ভাব হয়। পঞ্চভূত ও পঞ্চঙ্কন্ধ প্রায় একই অর্থে প্রযুক্ত হইয়াছে। স্কন্ধ শব্দ বৌদ্ধদর্শনের একটি বিশেষ কথা। See Childers' Dictionary.