ইহার অধ্যায় সংখ্যা —৩৩। ইহাতে উপাখ্যানের ভাগ অত্যন্ত অধিক। (৪) চতুর্থ খনির ও গ্রন্থকার ধর্ম্মত্রাত বলিয়া উক্ত হইয়াছেন। কিন্তু ইহার সহিত অন্য পুস্তক গুলির সাদৃশ্য বা সামঞ্জস্য নাই।
ধম্মপদ নীতিগ্রস্থ। নানাজনে ধম্মপদশব্দের নানা ব্যাখ্যা করিয়াছেন। গ্রন্থমধ্যে ও ধম্ম বা ধর্ম্মশব্দ বিভিন্ন অর্থে প্রযুক্ত হইয়াছে। কিন্তু এস্থলে ধর্ম্মের সাধারণ অর্থ গ্রহণ কাই সঙ্গত। পুস্তকের নামের অর্থ ধর্ম্মপথ, ধর্ম্মগাথা, ধর্মগ্রন্থ প্রভৃতি যিনি যাহাই করুন না কেন প্রকৃত উদ্দেশ্য সহজেই অনুমিত হয়। ইহাকে বৌদ্ধধর্মের নীতিস্তবক বলা যাইতে পারে। ধর্ম্মের মূল নীতিগুলি প্রায় সকল ধর্ম্মেই সমতুল্য। সুতরাং যে উদার নীতিমালার সমাবেশে-ধম্মপদের কলেবর পুষ্ট হইয়াছে, তাহা একমাত্র বৌদ্ধধর্ম্মেরই সম্পত্তি নহে। ইহার সার্ব্বজনীন আদর্শনীতি মালা সর্ব্বদেশেই সমাবৃত হইবার যোগ্য এবং এতদ্দ্বরা সর্ব্ব-