এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪
ধম্মপদ।
দেহের সৌন্দর্য্য-মাত্র যে মানব চায়,
সুখের সন্ধানে যা’র দিবা-নিশি যায়,
ইন্দ্রিয় সকল নহে সংযত যাহার;
পরিমিত নহে যা’র আহার বিহার,
যে দুর্ব্বল মানবের আলস্য সহায়
এ সংসারে পরাজয় তাহার নিশ্চয়।
বায়ু যথা ক্ষীণ বৃক্ষ করে উৎপাটন,
তেমতি মোহের[১] হাতে তাহার পতন॥ ৭॥
- ↑ মূলগ্রন্থে ‘মার’ শব্দ আছে; মার শব্দ সাধারণতঃ কাম বা কন্দর্প অর্থে ব্যবহৃত হয়। কামদেব যে সকল অণুচরগণ সমভিব্যাহারে বিশ্বজনকে বিমোহিত করেন, তাহাদিগকে মারগণ কহে; এই মারগণের উৎপত্তির কথা পুরাণে দৃষ্ট হয়, মারের দলবলের কথা ত্রয়োদশ সর্গের ৯ম শ্লোকে উল্লিখিত হইয়াছে। মারশব্দ বৌদ্ধমতানুসারে “প্রলোভনকারী” বা “কুপ্রবৃত্তি” অর্থে গ্রহণ করিতে হইবে। অর্থাৎ পাশ্চাত্য দেশে যাহাকে Satan বা Devil বলে, বৌদ্ধ গ্রন্থে মার শব্দ ও সেই অর্থে প্রযুক্ত হয়। বাঙ্গালা ভাষায় মার শব্দের সাধারণ ব্যবহার নাই। এজন্য অনুবাদে মার শব্দের পরিবর্ত্তে কোন কোন স্থলে ‘মোহ’ শব্দ ব্যবহৃত হইল। Mâr, the tempter, the great antagonist of Buddha,