পাতা:ধরা যেথা অম্বরে মেশে.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ ধরা যেথা অম্বরে মেশে [ ৫ম দৃপ্ত মা ! আবার জয়ন্ত ? জ। ক্ষমা কর মাধবী ! মা ! ক্ষমা ! কতবার করা যায় একই অপরাধে ? যায় না, ক্ষমা করা যায় না। আমার মনে একটা অমঙ্গলের আভাষ ভেসে উঠেছে, শ্যামলজী ! তোমায় আর ক্ষমা করবেন না বলে মনে হচ্ছে । জয়ন্ত আমি যে শ্যামলজীর দেবদাসী । জ। যা শাস্তি দেবে তুমি নিজের হাতে দাও, আমি মাথা পেতে নেবো । নেবো না শ্যামলজীর পাষাণ হাতের শাস্তি ! নেবো না তোমার অবিবেচক পিতার হাতের শাস্তি !— বাসবমিত্রা । কিন্তু, নিতেই যে হবে জয়ন্ত । ( বলতে বলতে বাসবমিত্রা সেখানে এলো। ভীষণ কুটিল হাসিতে তার মুখ ভরে উঠেছিল। ) বা । জানো জয়ন্ত মাধবমিত্রা । আচাৰ্য্য আজ কি আদেশ দিয়েছেন তোমাদের—অবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে জয়স্তকে তপোবন । যে অপবিত্র ভাব প্রবেশ করেছে এই পবিত্র আশ্রমে সেই অপবিত্রতা দূর করবার একমাত্র উপায় চির বিচ্ছেদ দুজনের । জ। , এসব কি বলছ বাসবমিত্রা ? রহস্য করে কি লাভ ? তিনি কেমন করে জানলেন— বা। রহস্য করা আমার স্বভাব নয়। আর জানলেন কেমন করে ? তিনি আমাদের চেয়ে বয়সে টের বড়। ঐ আসছেন আচাৰ্য্য ।