Ο Σ. Αυ যতনে পরিল রানী কনক-অঙ্গুরী। স্বাঙ্গাই সঞ্চারে তায় তরণি বিজয়ী ৷ পায়ে শোভে পাণ্ডলী অপূৰ্ব্ব পাতামল। রসালী নূপুর বাজে সহজে উজ্জল ॥৭ লক্ষ টাকার কঁচুলি করিল পরিধান। বিচিত্র ‘লিখিল তায় ভারত পুরাণ | [বসুদেব বন্দিখান। কংস-কারাগারে। চরণে ডাড়কা দন্ড কপাট দুয়ারে ॥ বন্দিখানা দুসর দৈবকী ঠাকুবাণী । বন্দিঘরে জন্ম নিল দেব চক্ৰপাণি | চতুৰ্ভুজ অবতার বনমালা গলে। বিপাকে দেখিযা কৃষ্ণ বসুদেবে বলে। এই দণ্ডে নন্দের মন্দিরে মোবে নেও । যশোদাবী কন্যা লইযা কংসঘরে দেও ! কহিতে বলিতে কৃষ্ণ বালকমৃবতি । বসুদেব গোকুলে চলিলা রাতারাতি ৷ সুৰ্য্যের নন্দিনী পথে আকুল যমুনা। সেই পথে সারথ্রি হইল ত্ৰিলোচনা ৷ সেই পথ জলে একা বসুদেব যান। কোলেতে আছিল কৃষ্ণ পড়িলা নিদান ৷ হায় হায় করে দ্বিজ না দেখে নন্দন । পুনরপি দেখা দিল দেব নারায়ণ ॥ তবে দ্বিজ নন্দের মন্দিবে দৰশন । এই সব কাচলিতে ভারথ লিখন । কৃষ্ণ রাখি কন্যা লইয়া করিল গমন । দৈবকীরে কন্যা লইয়া দিলেক তখন ৷ ৫ । অতঃপর পা পুথিতে অতিরিক্ত গলায় গ্ৰকভূমণি যার মূল্য নাই। রূপরামের ধৰ্ম্মমঙ্গল কোলে দিতে কান্দে দুৰ্গা কৃষ্ণের ভগিনী। প্রহরী দুয়ারে জাগে অপরূপ শুনি ॥ বারতা পাইতে কংস আল্য কারাগারে । দৈবকীর কন্যা নিল পাবক-সঞ্চারে { পাথরে আছাড় মারে দুয়া নাই মনে । হাতে হৈতে জয়দুর্গা উঠিলা গগনে | গগনে উড়িয়া দেবী ডাক দিয়া বলে । জন্মিল তোমার অরি। নন্দের গোকুলে৷ এত বলি ভবানী হইল অন্তর্ধান । ৰূপবাম ফকির ধৰ্ম্মেৱ গীত গান { এই সব লিখন আছয়ে সেইখানে । তবে লেখা ভারখণ্ড তাহার দক্ষিণে | সাবি সারি গোপিনী মথুবা বিকে যান। কদম্বতলায় কৃষ্ণ মুবলী বাজান ৷ রাধা বাধা বলি কৃষ্ণ বাজান মুবলী। সেই পথে বিকে যান বাধা চন্দ্রাবলী ॥ মাথায় পসরা ভাল তায় দুগ্ধ ঘি। কৃষ্ণ বলে দান দিবে। গো ওলার বি ৷ প্রতিদিন আইস যাও দান নাহি পাই । কোথা যাবে বাজাব জগাত আমি হই ৷৷ রাধা কানু বসের ঝাঁকড়া ব্যয্যা যায়। বাডিল বসেব খেলা কদম্বতলায় { বড়াই বলে কৃষ্ণ ভাল নহে এই কাজ । গোকুল মজাবে পারা বাড়াইবে লাজ ৷ ভাগীরথী জন্মিলা যমুনা যার পায়। সে কানু গোপীর কোলে নাচিয়া বেড়ায় ৷ নাকমাছি নাকে দিল মায়ার বড়াই।
