পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rb ধৰ্ম্ম-জীবন। থাক, নিগ্রহের উপযুক্ত মনে করা দুরে থাক, সাজা দিবার পাত্ৰ ভাবা দূরে থাক, বরং একথা বলিলে অত্যুক্তি হয় না যে, দেহ দেবতার পূজা বৰ্ত্তমান সভ্যতার একটী প্রধান লক্ষণ হুইয়া দাড়াইতেছে। দেহ-মহাশয়কে প্ৰসন্ন করিবার জন্য কত আয়োজন ! দেহ-মহাশয় রেলগাড়ীতে যাবেন, অতএব বেঞ্চে গদি লাগাও ; দেহমহাশয় গ্রীষ্মের উত্তাপ সহিতে পারেন না, অতএব সেই গাড়ীতে খসখসূ লাগাও ; দেহ মহাশয়ের বাকুনি না লাগে, এইরূপ করিয়া গাড়ি ও চাকা নিৰ্ম্মাণ কর-ইত্যাদি ইত্যাদি, দেহের পরিচর্য্যার অন্ত নাই। বলিতে কি, দেহের প্ৰতি এমনি মনোযোগ যে পাপ অপেক্ষা রোগকে, হৃদয়ের কঠিনতা অপেক্ষা অস্বাস্থ্যকে, অধিক ভয় করা হইতেছে। স্বাস্থ্যের উপায় নিৰ্দ্ধারণের জন্য শত শত বিজ্ঞানবিদের মস্তিষ্ক ২ নিযুক্ত হইতেছে, শত শত জীবন্ত প্রাণীর দেহ প্ৰতিদিন কাটিয়া দেখা যাইতেছে। এই যে দেহের ও স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত পুজা, ইহাকে প্রাচীন অতিরিক্ত দেহ-নিগ্রহের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া মনে করা যাইতে পারে। দেহের প্রতি যেমন অতিরিক্ত মনোযোগ পড়িয়াছে, তেমনি চির অবজ্ঞাত এই জড় জগতের প্রতিও বিশেষ মনোযোগ দৃষ্ট হইতেছে। বিজ্ঞান কোনও রাজ্যে প্রবেশ করিতে বাকি । রাখিতেছে না ! দূরবীক্ষণ সাহায্যে আকাশে উঠিতেছে ; অণুবীক্ষণ সাহায্যে ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্রতম পদার্থের মধ্যে প্রবেশ করিতেছে। সর্বত্রই মানুষ দেখিতে পাইতেছে, এ জগত