পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O 6-ौवन । যুগের নরনারী যাহার আচরণে কুষ্ঠিত হয় নাই, আর এক যুগের লোকে তাহার স্মরণে লজ্জিত হইয়াছে; গড়ের উপরে মানব-সমাজ প্ৰতিষ্ঠিত থাকিয়াছে এবং স্বীয় কাৰ্য্য চালাইয়াছে। কে মানব-সমাজকে এরূপে প্ৰতিষ্ঠিত রাখিতেছে ? মানবাত্মাতে নিশ্চয় এমন কিছু আছে যাহার গুণে মানব-সমাজ স্থিতি করিতেছে ; যাহার বলে অন্ধ প্ৰবৃত্তিসকল সংযত হইতেছে ; যাহার প্রভাবে হিংসা, বিদ্বেষ, অহঙ্কার, জিগীষা প্ৰভৃতি নিয়মিত হইয়া যাইতেছে । এই যে মানবাত্মার স্বভাবনিহিত শক্তি, তাহাকে ধৰ্ম্মশাসন নামে অভিহিত করা যাইতে পারে । একটা জড়বস্তু যেমন ভৌতিক শক্তির দ্বারা ধৃত হইয়া থাকে, তেমনি মানব-সমাজ এই ধৰ্ম্মশাসন দ্বারা ধৃত হইয়া রহিয়াছে । জড়ের পক্ষে মাধ্যাকর্ষণ যেমন স্বাভাবিক, মানবাত্মার পক্ষে এই ধৰ্ম্মশাসন তেমনি স্বাভাবিক ; উভয়ই অলঙ্ঘনীয়, ठङयूछे আনিবাৰ্য্য, উভয়ই সৃষ্টি-প্রক্রিয়ার অঙ্গীভূত । ইহা পরিষ্কার রূপে জানিয়া রাখা উচিত যে যে আদি শক্তি বা আদি, কারণের দ্বারা জগত চলিতেছে, ধৰ্ম্মশাসন তঁহারই অঙ্গীভূত। জগতের মহাজনগণ, সিদ্ধ পুরুষগণ, মানব-প্রকৃতিনিহিত ধৰ্ম্মশাসনকে লক্ষ্য করিয়াই ইহাকে বিবিধ নামে আখ্যাত করিয়াছেন। বুদ্ধ ইহাকে বলিলেন ধৰ্ম্ম, মহম্মদ বলিলেন “আল্লা হো আকবর” মহান প্ৰভু পরমেশ্বরের ইচ্ছা, ধীশু বলিলেন, “আমাদের স্বৰ্গস্থ পিতার ইচ্ছা”, ভারতের ঋষির বলিলেনঃ