পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গভীর অভিনিবেশ ও স্বাৰ্থত্যাগের শক্তি । st তাহাদের বিষয় সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া বসিয়া রহিল। এই কল্পিত স্বৰ্গরাজ্যের প্রলোভনে শত শত নরনারী আপনাদের সৰ্ব্বস্ব অৰ্পণ করিল ; দলে দলে লোক প্ৰাণ পৰ্যন্ত বিসর্জন করিল । ইহার কারণ কি ? কি দেখিয়া তাহার এমন করিয়া ক্ষেপিয়া গেল ? যীশুর কথা ত তাহারা বুঝিলই না ; একটা ভুল স্বৰ্গরাজ্যের কল্পনা করিল। যাহা তাহারা শুনিল, তাহা নাই বা বুঝিল, কিন্তু যাহ। তাহারা দেখিল, তাহাতেই একেবারে আপনাদিগকে হারাইয়া ফেলিল। ঐ যে যীশুর গভীর অভিনিবেশ ও স্বাৰ্থত্যাগের ক্ষমতা দেখিল, তাহাতেই डiश्iद्धl cभांश्डि श्ध्रi c१ील । বাইবেল গ্রস্থে লিখিত আছে, যীশু যখন নবজীবন লাভ করিয়া, প্রচার করিবার জন্য দণ্ডায়মান হইলেন, তখন পাপপুরুষ সয়ন্তান একদিন তঁহাকে এক পৰ্ব্বতোপরি লইয়া গিয়া, চতুর্দিকের জনপদ সকল দেখাইয়া, বলিল, “আমি তোমাকে এই বিস্তীর্ণ রাজ্যের অধীশ্বর করিব ; পৃথিবীর সকল সম্পদ তোমার হইবে ; তুমি স্বৰ্গরাজ্যের কথা প্রচার করিও না।” যীশু। বলিলেন, “রে সয়তান, তুই দূর হ ।” এই রূপকের অর্থ এই যে, যীশু। এই স্বৰ্গরাজ্যকে এমন ভাবে দেখিয়াছিলেন, যে, সমস্ত পৃথিবীর সম্পদ ও ঐশ্বৰ্য্য তাহার নিকট অতি তুচ্ছ মনে হইয়াছিল । যীশু বলিয়াছিলেন, পাখীর কুলায় আছে ; পশুর বিবর। আছে ; কিন্তু তঁহার মাথা রাখিবার স্থান নাই। লোকে