পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবজীবনের সার্থকতা। ܖ* সংসারটা যদি গারদই হইল, তবে এখানে সম্পূহ করিবার, ভাল বাসিবার, সম্ভোগ করিবার, উপযুক্ত বিষয় কি থাকিতে পারে ? বরং যদি কেহ এখানে সম্ভোগ করিবার মত কিছু দেখে তাহা তাহার অন্ধতা, আত্মকল্যাণ-বিমুখত মাত্র। শুনিয়াছি পোষা হস্তিনীকে দিয়া মানুষ পুরুষ হস্তীকে ভুলাইয়া খোয়াড়ের মধ্যে আনে । সে খোয়াড়ের মধ্যে আসিয়া স্বচ্ছন্দে কদলীবৃক্ষ আহার করে ও হস্তিনীর সহিত ক্রীড়া করে ; একবার ভাবে না, শেষ মুহুৰ্ত্ত না আসিলে বুঝিতে পারে না, যে, DBBDSDELLD gLSS D DBD SA DBLBLBLB DBLSDD বিষয় পায়, এ জীবনকে স্পািহণীয় মনে করে, এখানকার খেলা ধুলায় ভুলিয়া থাকে, তাহারও দশা যেন কতকটা সেই প্ৰকার ; সে জানে না যে বন্ধনদশাতে পড়িয়াছে । জীবনে সজাগ থাকি, বহ্মনকে বন্ধন বলিয়া জানা, ও তাহা হইতে নিস্কৃতি লাভ করিবার উপায় বিধান করাই মানবজীবনের मठ । এই গেল মানবজীবনের এক প্রকার ভাব ; আস্থাবান খ্ৰীষ্টানকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিবেন, মানবজীবন পরীক্ষার অবস্থা । এই জীবনের এই কয়েকটা বৎসরের সুকৃতি দুস্কৃতির উপরে অনন্ত জীবনের সুখ বা দুঃখ নির্ভর করিতেছে। ঈশ্বর দেখিতেছেন, সহিতেছেন, সতর্ক করিতেছেন, —মুক্তির পথ বার বার সম্মুখে আনিতেছেন ; কিন্তু ঈশ্বরের সহিষ্ণুতারও একটা সীমা আছে। তিনি আর কত সহিবেন ?