পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ধৰ্ম্ম-জীবন। করে ; অস্থি-সংস্থান ভিন্ন রক্ত,মাংস কোথায় বসিবে ও কাজ করিবে ? অথবা, ইহাকে দেবপ্রতিমা-গঠনের সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। মৃন্ময় দেবমুৰ্ত্তি গঠন করিবার পূর্বে পটুয়fগণ একটা কাষ্ঠময় মূৰ্ত্তি গঠন করে, যাহাকে চালিত ভাষায় “কাঠমা’ বলে। ঐ কাঠমাখনি অগ্ৰে না করিলে মৃন্ময় মূৰ্ত্তি গঠনের সুবিধা হয় না। মৃত্তিক ঐ কাষ্ঠীকে আশ্রয় করিয়াই থাকে। ধৰ্ম্মের মতও যেন সেই প্ৰকার । মতগুলি ভিত্তিস্বরূপ ভিতরে না থাকিলে একটা ধৰ্ম্ম শক্তিশালী হইয়া দাড়াইতে পারে না ; সাধনের অবস্থায় আসিতে পারে না; ভাব এতদূর স্বীকার করিয়াও বলিতে হইবে যে, দেহের কঙ্কাল যেমন দেহ নয়, প্ৰতিমার কাঠমা খান যেমন প্ৰতিমা নয়, তেমনি কেবলমাত্র মতটাও ধৰ্ম্ম নয় । বিশেষতঃ, এই একটা কথা সৰ্ব্বদাই মনে রাখিতে হয় ; অজ্ঞ ও দুর্বল মানুষ ঈশ্বর, মানব ও জগৎ সম্বন্ধে যে ভাব হৃদয়ে গ্ৰহণ করে ও হৃদয়ে ধারণ করে, তাহ সর্বদাই, অপূর্ণতাদোষ সংস্পষ্ট। যেমন আমরা এই দুইটী ক্ষুদ্র বাহিরের চক্ষু দ্বারা অনন্ত আকাশের যতটুকু দেখিতে পাই, এবং যে ভাবে দেখি, তাহা কি সত্যের অনুরূপ ? অসীম অন্তরীক্ষে এক একটী গ্ৰহ নক্ষত্র অপরটা হইতে লক্ষ লক্ষ ধোজন দুরে ; কিন্তু আমাদের বোধ হয় তাহারা যেন এক নীলবৰ্ণ পটে অঙ্কিত হইয়া রহিয়াছে; বা এক প্ৰকাণ্ড গোলাকৃতি ছাদে হীরক খণ্ডের