পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিনয় ও প্ৰদ্ধা । dà বর্জন করিয়া অমৃতকেই আহরণ করে। ইহার ঠিক বিপরীত একটা বৃত্তি আছে, তাহা মক্ষিকবৃত্তি । তোমার সর্বাঙ্গের মধ্যে কোথায় ক্ষত স্থানটা আছে, মক্ষিক তাহা অন্বেষণ করিয়া বাহির করিবে ও তাহাতেই বসিবে। মানব-সংসারেও দুই চরিত্রের লোক দেখি, কেহ বা মক্ষিকার ন্যায়, কেবল ক্ষতই অন্বেষণ করে, অপরের গুণভাগ ভুলিয়া দোষভাগ দেখিতে ও ও কীৰ্ত্তন করিতে সুখ পায়, সৰ্ব্বাদ পর দোষের চর্চাতেই থাকে ; আর কেহ বা ষটপদের ন্যায় দোষকে ভুলিয়া গুণাই দেখে, অপরের গুপের চিন্তাতে সুখী হয়, অপরের গুণের অ্যালোচনাই ভাল বাসে এবং তদস্থার উপকৃত হয় । যদি আমাকে কেহ দুই কথায় সাধুর লক্ষণ দিতে বলেন। তবে আমি বলি-যিনি মানুষের দোষ অপেক্ষা গুণ অধিক দেখিতে পান, তিনিষ্ট সাধু। যে সকল ধৰ্ম্মপ্ৰবৰ্ত্তক মহাজন জগতে বিশেষ|াবে সাধুনামে পরিচিত হইয়াছেন, তঁহাদের বিশেষত্ব কে{গায় ? তাহদের বিশেষত্ব এই যে, যেখানে অপারে শুষ্ক বালুকাময় • মরু দেখিয়াছে, তাহারা দেখিয়াছেন তাহার মধ্যে সুশীতল বারির উৎস লুকাইয়া আছে ; যেখানে অন্যে পাপের দুৰ্গন্ধময় পঙ্কিল হ্রদ দেখিয়াছে, তাহার সেখানে দেখিয়াছেন নবজীবনের আশা । মানব প্ৰকৃতি সম্বঙ্গে তাহদেৱ অসীম অশাশীলতা ছিল ; এই জন্যই তঁাহারা মানব প্রকৃতিকে উন্নত করিয়া তুলিতে পারিয়াছেন। এমন কি মানুষ নিজে আপনাতে যে জিনিষটুকু দেখিতে পায় নাই, তাহা W ෂ