পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম-জীবন। তাহারা দেখিতে পাইয়াছেন ও সেইটুকুকেই সমুচিত শ্রদ্ধা করিয়া মানুষকে উচু করিয়া তুলিয়াছেন। একজন কুলটা নারী যীশুর চরণ প্ৰক্ষালন করিতে আসিলে, তাহার শিষ্যেরা বাধা দিল ; যীশু বলিলেন, “আহা, বাধা দি ও না, উহার প্ৰেম ও ব্যাকুলতাই উহাকে উদ্ধার করিবে” ; সে নারী ভাবিল “তবে তা আমার ও উদ্ধার আছে’ ; আমনি তাহার মনে আশা জাগিল, সেই সঙ্গে নবজীবন ও জাগিল। এই গুণগ্ৰাহিতাই সাধুদিগের প্রধান লক্ষণ । মানুষ ষটপদবৃত্তিসম্পন্ন হইবে কি মক্ষিকবৃত্তিসম্পন্ন হইবে, তাহার অনেকটা অভ্যাসের উপরে নির্ভর করে। যদি মানুষ এমন স্থানে বা এমন সঙ্গে বাস করে, যেখানে পরের দোষের সমালোচনাই আপিক হয়, তবে তাহার অস্তরের বিনয় শ্রদ্ধা নন্ট হইয়া যায়। যে গৃহের অভিভাবকগণ অসাধাঁধানত বশতঃ বালক বালিকাদিগের সমক্ষে তাহ|- দের শ্রদ্ধা ভক্তির পাত্র ব্যক্তিদিগের দোষের সমালোচনা করেন। ও সর্বদ। পরিচর্চাতে প্ৰবৃত্ত থাকেন, সে গৃহের বালক বালিকারা বিনয়-শ্রদ্ধাহীন, পারছিদ্রান্বেষী ও আ সুস্তিরী হইয়া উঠে । বিনয় শ্রদ্ধাহীন চরিত্রে গভীরতা থাকে Fil; বিনয়-শ্রদ্ধাহীন হৃদয়ে ধৰ্ম্মভাব জমে না । এই জন্য সকল দেশের ঈশ্বর-প্রেমিকগণ বার বার বলিয়াছেন, স্বৰ্গরাজ্যে প্রবেশের দ্বারে দীনতা । যে প্ৰাণের ব্যাকুল তাতে আপনার বিদ্যা, বুদ্ধি, পদ, গৌরব, ক্ষমতা, যোগ্যতা সমুদয়কে তুচ্ছ মনে করে না, ধৰ্ম্মরাজ্য তাহার জন্য নহে ; , সদুপদেশ, সাধুচরিত্র, সুৎ প্রসঙ্গ, সৎসঙ্গ কিছুই