পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( t ) BtDD tu BDDDDD DDDDBBD LBBBD DBB BDBBD SgD S SuBB S D কিছু সাধন-প্ৰণালীর উদ্ভাবন করিয়াছেন, সে সকলের একই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে নির্লিপ্ত, নিঃস্বপূহ ও নিস্ক্রিয় হওয়া। কিন্তু ভক্তিমাৰ্গাবলম্বিগণ আর একপ্রকার শান্তির প্রয়াসী । তঁাহারা বলেন-জীবনের সকল প্ৰকার পরীক্ষাও আন্দোলনের মধ্যে আশা ও প্ৰেম যদি আমাদের হৃদয়কে পরিত্যাগ না। করে, যদি সত্যস্বরূপের সত্যজ্যোতি আমাদের চক্ষু হইতে আন্তহিঁত না হয়, তাহা হইলেই আমরা সুখী । সেদেশে ধৰ্ম্মের বাস সে দেশে এই প্ৰকার সুখ সাধকচিত্তে সৰ্ব্বদাই বিদ্যমান। ধৰ্ম্ম কি এ বিষয়ে অনেক মতভেদ দৃষ্ট হয়। কোন কোনও ধৰ্ম্ম সম্প্রাদয়ের মতে ধৰ্ম্ম এমন কতকগুলি কাৰ্য্য যদ্বারা স্বৰ্গবাসের উপযুক্ত হওয়া যায়, বা কৰ্ম্মভোগ হইতে নিস্কৃতি পাওয়া যায় ; কাহার কাহারও মতে ধৰ্ম্ম এমন কতকগুলি আচরণ যন্দ্বারা কুপিত ঈশ্বরের কোপ শান্তির উপায় বিধান হয় ; কিন্তু আমাদের মতে ধৰ্ম্ম সেই আধ্যাত্মিক অবস্থা যাহাতে আরোহণ করিলে আত্মা স্বাধীনতা, পবিত্ৰতা, প্রেম ও আনন্দে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া ঈশ্বরচরণে বিহার করিতে থাকে । ধৰ্ম্ম সঞ্চয় করিতে হয় না, পরকালের খাতাতে জমার ঘরে লিখিতে হয় না, কিন্তু ধৰ্ম্ম হইতে হয় ! প্ৰকৃত প্ৰেমিক ও ভক্ত ধাৰ্ম্মিকের পক্ষে ধৰ্ম্ম শিশুর স্কন্ধে আরোপিত প্রৌঢ়ের পোষাকের মত নহে, কিন্তু নিঃশ্বাস প্ৰশ্বাসের ন্যায় স্বাভাবিক । ইহা তাহদের উত্থান ও শয়নে, আশনে বসনে প্ৰকাশ পায়। জগতের ধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তক মহাত্মাগণ ধৰ্ম্মের এই স্বাভাবিকতার নিদর্শন স্বরূপ। বুদ্ধ ধীশু মহম্মদ সকলেরই জীবনে দেখিতে পাই যে ধৰ্ম্ম তঁহাদের জীবনে স্বাভাবিক ভাবেই বাস করিয়াছে। মহাত্মা বুদ্ধের জীবনে DDDDB BDHuB KKD KD DDD DDSS SB D BBB BBDS BDDB কঠোর তপস্যা করিয়াছিলেন বটে। কিন্তু যখনি মনে করিলেন যে সত্যালোক প্ৰাপ্ত হইয়াছেন, তখনি পূৰ্ব্বকার কঠোর তপস্যার অনাবশ্যকতা ও অকিঞ্চিৎকরত। অনুভব করিলেন, এবং ধৰ্ম্ম সাধনের জন্য মধ্য পথই অবলম্বনীয় বলিয়া উপদেশ দিতে লাগিলেন । মহাত্মা মীশুও পরিষ্কার রূপেই বলিতেন যে তঁাহার ধৰ্ম্ম কৃচ্ছ, সাধনের ধৰ্ম্ম নহে! তিনি বলিতেন,-“জন উপবাস ও কৃচ্ছ, সাদনের উপদেশ দিতেন, আমি নিয়মিত আহার বিহারের উপদেশ দিয়া থাকি।”