পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Ou ) তাহাদিগের উপদেশ ও দৃষ্টান্ত এরূপ কাজ করিতে সমর্থ হইয়াছিল। চতুর্থত,-ইচ্ছাশক্তিতেও যে তাহারা অগ্ৰগণ্য ছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই। বুদ্ধেরত কথাই নাই, তঁহাকে ইচ্ছাশক্তির অবতার বলিলে অত্যুক্তি হয় না। MBB DDD BB DBB BBB BBDDD BBD DD DD SS SDDDB DBD বলের বিষয় চিন্তা করিয়া মনে আয়ত্ত করা যায় না ; চিন্তা করিতে গেলে একেবারে বিস্ময়-সাগরে নিমগ্ন হইতে হয়। অপরাপর মহাজনের জীবনেও আশাচৰ্য্য মানসিক বলের নিদর্শন প্ৰাপ্ত হওয়া যায় । মহাজনাদিগের মহত্বের যে সকল কারণ পূর্বে প্ৰদৰ্শিত হইল, তদ্ভিন্ন আরও একটী কারণ আছে, যাহার বিষয়ে চিন্তা করিলে বিস্মিত হইতে হয়, এবং সেই খানেই তঁহাদের বিশেষত্ব বলিয়া মনে হয়। সেটা তাহাদের অদ্ভুত আশার শক্তি। তাহারা সকলেই আশার বলে বলী ছিলেন ; জগতের ধৰ্ম্ম নিয়মের প্রতি আশা, নিজেদের প্রতি আশা ও মানবের প্রতি আশা, এই ত্ৰিবিধ আশা গুণেই তঁাহারা শ্রেষ্ঠ ছিলেন। তাহারা ধৰ্ম্ম নিয়মের প্রতি এমনি অবিচলিত আস্থা স্থাপন করিয়াছিলেন যে, সত্য ও সাধুতার জয় অনিবাৰ্য্য বলিয়া অনুভব করিতেন। নিজেদের চেষ্টার দ্বারা যে সেই সত্য-রাজ্য স্থাপিত হইতে পারে, সে বিষয়েও নিঃসংশয় ছিলেন, এবং মানব-প্ৰকৃতি যে ধৰ্ম্মের অনুকুল তাহাও বিশ্বাস করিতেন; তদ্ভিন্ন কোনও প্রকারেই এরূপ একনিষ্ঠতার সহিত কাৰ্য্য করিতে পারিতেন না। তঁহাদের এই আশার বিষয়ে নিবিষ্টচিত্তে চিন্তা করিলে, অতীব বিস্ময়াবিষ্ট হইতে হয়। যে সকল অবস্থাতে মানুষের আশা করিবার কোনও কারণই থাকে না, চারিদিক অন্ধকার বলিয়া বোধ হয়, একমাত্র অবলম্বন স্বরূপ যাহা ছিল তাহাও চলিয়া যায়, এবং একাকী ংগ্ৰামক্ষেত্রে দণ্ডায়মান থাকিতে হয়, সে সকল অবস্থাতেও ইহাদের আশা হৃদয়কে পরিত্যাগ করে নাই। সকল মহাজনের জীবনেই এই আশা-শীলতার ভূরি ভুরি নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায়। সকল ছাড়িয়াও যে পঞ্চজন শিষ্য নির্জনের সঙ্গী ছিল, তাহারাও যখন ত্যাগ করিয়া গেল, বুদ্ধের জীবনের সেই মুহুর্ভের কথা একবার স্মরণ কর। সেরূপ অবস্থাতে মানব-হৃদয় কি আর আশান্বিত থাকিতে পারে ? বজ-নিৰ্ম্মিত হৃদয়ও এরূপ সময়ে ভাঙ্গিয়া যায়। কিন্তু এইখানেই বুদ্ধের মহত্ব যে সেরূপ অবস্থাতেও তঁহার আশা আরও উজ্জল