পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७१ ) হইয়া উঠিল। তিনি নূতন প্ৰতিজ্ঞার সহিত ধৰ্ম্ম-সাধনে বলিলেন। একজন ইংরাজী কবি আশার বর্ণনা করিতে গিয়া বলিয়াছেন,-“আশা যথার্থই আলো'কের ন্যায় ; যতই অন্ধকার গাঢ় হয়, আলোক যেমন ততই অধিক উজ্জ্বলতা ধারণ করে, আশাও সেইরূপ বিপদাগ্ধকার মধ্যে অধিক উজ্জ্বল হইয়া থাকে।” একথা যদি কাহারও জীবনে সত্য হইয়া থাকে, তবে এই মহাজনাদিগের জীবনেই সত্য বলিয়া প্ৰমাণিত হইয়াছে। ধীশুর জীবনের বিষয়েও চিন্তা কর। যে দিন তিনি শত্ৰুগণ কর্তৃক ধৃত হইলেন,সেই দিনের কথা স্মরণ করিয়া দেখ। যে অল্প সংখ্যক ব্যক্তি র্তাহার দিকে আকৃষ্ট হইয়া তাহার শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়াছিল, তাহারাও সে সময়ে পৃষ্ঠভঙ্গ দিল। সেই ঘোর বিপদের সময় YDBB DBDD BBD EL BB DSS sBDD DDD DDDB DDBS প্রিয় শিষ্য পিটারও ও প্রাণভয়ে তাহাকে অস্বীকার করিলেন । যদি যীশুর জীবনে কোনও দিন, কোনও মুহুৰ্ত্তে, নিরাশ হইবার কারণ ঘটিয়া থাকে, এই দিন, এই মুহুর্তে তাহা ঘটিয়াছিল, তাহাতে কি আর সন্দেহ আছে ? তথাপি দেখ, তাহার কেমন আশা-শীলতা,তিনি শেষ মুহুৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত আশা করিতেছেন যে স্বৰ্গরাজ্য পৃথিবীতে আসিবেই আসিবে। এক দিকে যেমন ঈশ্বরের সত্য-রাজ্যের প্রতি আশা, তেমনি নিজেদের প্ৰতি আশা। এক মুহুর্তের জন্য নিজেদের প্রতি আশা ঋলিত হইলে, কখনই এত বিপদের মধ্যে তঁহারা স্থির থাকিতে পারিতেন না। আপনার প্রতি আশা না থাকিলে এতটা স্বাবলম্বন শক্তি মানব চরিত্রে আসে না । তৃতীয়তঃ, মানবের প্রতি আশাও অসাধারণ ছিল। এই গুণেই তাহারা জগতের পাপী তাপী সকলের হৃদয়কে আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । সাধারণ মানুষেরা যে সকল লোকের চরিত্রে আশা করিবার মত কিছুই দেখিত না, যাহাদিগকে দেখিয়া তাহারা অবজ্ঞা করিত ও মনে ভাবিত ইহাদিগের দ্বারা ঈশ্বরের রাজ্যে কোন কাৰ্য্যই হইতে পারে না, এই সকল মহাজনগণ তাহাদের চরিত্রে এমন কিছু দেখিতে পাইতেন যাহাতে তুহারা তাহাদের উপরে আশা স্থাপন করিতেন। তাহারা অপর সকল লোকের নিকটে গেলে হয়ত ঘূণাসুচক দৃষ্টি দেখিত ও অবজ্ঞাসূচক ভাষা শুনিত, এই সকল মহাজনের নিকটে আসিলে আশাপূর্ণ প্ৰেম-হস্তের সুকোমল স্পর্শ লাভ করিত, আমনি