পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( otro ) তাহাঁদের হৃদয়ের সদ্ভাব সকল ফুটিয়া উঠিত। এমন কি, এই সকল ব্যক্তি নিজেরা আপনাদিগকে যতটা শ্ৰদ্ধা করিত না, ও নিজেদের প্রতি যতটা আশা রাখিত না, মহাজনগণ তাহা করিতেন ও ততটা আশা রাখিতেন, ইহাতেই তাহাদের সংস্পর্শে আসিয়া মানব হৃদয়ের সমুদায় উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ও সমুদায় গৃঢ় সাধুতার শক্তি জাগিয়া উঠিত। ইহাই তাঁহাদের চরিত্রের আকর্ষণের প্রধান কারণ। যেখানে আশা সেই খানেই সাহস ; যেখানে সাহস সেই খানেই দুর্বল আত্মার আকর্ষণ। ঝটিকা মধ্যে পতিত হইলে মানব যেমন স্বভাবতঃ সুদৃঢ়-নিৰ্ম্মিত সৌধতলে আশ্রয় গ্ৰহণ করে, সেইরূপ জীবনের পাপ তাপের মধ্যে দুর্বল মানব স্বভাবতঃ বলবান ও সাহসী পুরুষের আশ্রয়ে থাকিতে চায় ? যুদ্ধক্ষেত্রে যে সেনাপতি আপনার অগ্নিস্ফুলিঙ্গময় দৃষ্টি দ্বারা ও উৎসাহজনক বাক্যের দ্বারা সৈনিকগণের সংশয়াকুল চিত্তে সাহসের সঞ্চার করিতে পারেন, সৈনিকগণ যেমন তাহারই নিশানের নিয়ে দণ্ডায়মান হইতে DuB DBBBS BDD DBDD BBLBD D DBBBD S uBDkeS BDBD S LDDBD পারেন, তঁহারই দিকে সাধারণ মানবের চিত্ত স্বতঃই আকৃষ্ট হয়। এই অলৌকিক সাহসের গুণেই মানবমনের উপর মহাজনগণের এই শক্তি । কিন্তু এই আশাশীলতা ও এই সাহসের মূল কোথায়? সাধুগণ কি কেবলমাত্র আত্মশক্তির উপরে নির্ভর করিয়া এইরূপ আশাশীল ও সাহসী হইয়াছিলেন ? তাহা নহে, আপনাদের প্রতি সম্পূর্ণ নির্ভর থাকিলে তঁাহারা কখনই এরূপ অদম্য সাহস লাভ করিতে পারিতেন না। বরং এই কথা বলিলেই ঠিক বলা হয় যে, নিজেদের প্রতি-পুর্ণ নির্ভর ছিল না বলিয়াই তাহারা এতদূর সাহসী হইতে পারিয়াছিলেন। তঁহাদের নিজের প্রতি যে আশা ছিল, তাহাও জগতের ধৰ্ম্মনিয়মের প্রতি অবিচলিত বিশ্বাসের ফলমাত্র। র্তাহারা দেখিতেন তাহদের ক্ষুদ্র শক্তির পশ্চাতে ধৰ্ম্মের অবিনশ্বর ও অদম্য শক্তি রহিয়াছে, এই কারণেই তাহারা সত্যের বিজয়-নিশান হন্তে লইয়া দাড়াইতে পারিতেন। তাহারা সত্যকে ও ধৰ্ম্মকে সেই অনন্ত অধিনাশী ব্ৰহ্মসত্তার সহিত একীভূত দেখিতেন, এই জন্যই তঁহাদের এত সাহস। সত্য ও ধৰ্ম্মের চিন্তন ও অনুসরণে "ব্ৰহ্মানন্দের আস্বাদ পাইয়াই ভয় ভাবনা বিরহিত হইতেন। হৃদিগত সত্য-বিশ্বাস মানবের আত্মাতে ও চরিত্রে অনুপ্রবিষ্ট হইয়া থাকে;