( 8 ) প্রাঙ্গণে শাস্ত্ৰ, গুরু ও বিধি লইয়াই বিবাদ বিসম্বাদ করিতে থাকে। এ কথা বলিবার তাৎপৰ্য্য ইহা নহে, যে ধৰ্ম্মজীবনের সহায়তার পক্ষে শাস্ত্ৰ, গুরু ও বিধি কিছুই নহে; এইমাত্র বক্তব্য যেমন বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় গ্ৰন্থ সকল ও বিজ্ঞানবিৎ গুরুগণ সাক্ষাৎদশী জ্ঞানীদিগের পক্ষেই প্ৰকৃত সহায় তেমনি শাস্ত্ৰ, গুরু ও বিধি সাক্ষাৎদর্শী ধাৰ্ম্মিকের পক্ষেই প্ৰকৃত সহায় । অতএব আমরা সকলেই ইহা অনুভব করিতে পারিতেছি যে ব্ৰহ্মের সাক্ষাৎদর্শন দ্বারাই আত্মা ধৰ্ম্মের ভূমিতে আরোহণ করে, এবং সে ভূমির বায়ুর প্রধান লক্ষণ আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা । সে বায়ুর প্রথম লক্ষণ স্বাধীনতা দ্বিতীয় লক্ষণ প্ৰেম । স্বাধীনতা ভিন্ন প্রীতির স্ফৰ্ত্তি হয় না; আবার যেখানে অকপট প্রীতি সেখানেই আত্মার স্বাধীনতা । শ্ৰীতির পদাৰ্পণ মাত্র পরাধীনতার অন্তর্ধান, আবার পরাধীনতার আবির্ভাবে প্রীতির বিনাশ । সর্ববিধ প্রীতির পক্ষে এই নিয়ম। কি ঈশ্বরে গ্ৰীতি, কি সাধুজনের প্রতি প্রীতি, কি সদনুষ্ঠানের প্রতি প্রতি, কি মানবসাধারণের প্রতি শ্ৰীতি, সৰ্ব্ববিধ প্রীতিই ধৰ্ম্মের নিবাস-ভূমির বায়ুর মধ্যে বিদ্যমান। যে আত্মা সেই সত্য সুন্দর মঙ্গল পুরুষকে দর্শন করে নাই, সুতরাং যে বিবিধ বন্ধনের মধ্যে বাস করিতেছে, সে কখনই অবিমুক্ত প্রীতির সুখ আস্বাদন করিতে পারে না। তাহার ঈশ্বর-প্রতি বিষয়-সুখলিপ্তসার দ্বারা সীমাবদ্ধ, তাহার সাধুজন-প্রীতি জাতীয়তার দ্বারা সীমাবদ্ধ, তাহার সদনুষ্ঠানপ্রীতি সাম্প্রদায়িকতার দ্বারা সীমাবদ্ধ, এবং তাহার মানব-প্রীতি জাতিভেদ দ্বারা সীমাবদ্ধ। মানবের ধৰ্ম্মভাব উদার ভূমিতে আরোহণ না করিলে তাহার প্রতি উদার ভাবে সমগ্ৰ জগতকে আলিঙ্গন করিতে পারে না । চীনদেশীয় সাধু কংফুচ স্বীয় শিষ্যদিগকে বলিতেন—“মহামনা ব্যক্তি উদার, তিনি সাম্প্রদায়িক নহেন ; ক্ষুদ্রাশয় ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক, সে উদার নাহে।”-সাধুদিগের জীবন-চরিতে আমরা অনেকবার দেখিয়াছি যে প্রকৃত ভক্তি যে হৃদয়ে প্ৰবেশ করে, জাতিভেদ সেখানে তিষ্ঠিতে পারে না। জাতিভেদরূপ মধুখ প্রেমের বাতির স্পর্শেই গলিয়া পড়ে। মানব-প্রীতির পক্ষদ্বয়কে জাতিভেদের রজু। দ্বারা বদ্ধ করিয়া রাখিলে সে প্ৰেম ঈশ্বরের চরণাকাশে উঠিতে পারে না ; আবার ঈশ্বরের চরণাকাশে যে আত্মা একবার উঠে সে আর জাতিভেদের क्रुद्ध कूच थाौद्र नक्न विष्ड् श्रां ना ! ८धमत्र हे 4क भभिl हेश्
