পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y OTR ধৰ্ম্মজীবন ব্ৰহ্মের সত্তা ও স্বরূপ সম্বন্ধে অনেক কথা জানিতে পারি । কিন্তু শাস্ত্ৰই, শ্রবণের এক মাত্ৰ উপায় নহে। শাস্ত্ৰ লিপিবদ্ধ জ্ঞান মাত্র ; যেমন সংগীতের স্বরলিপি। যেমন স্বরলিপি মুখস্থ করিয়া রাখিলেই কেহ সুগায়ক হয় না, স্বরলিপির। প্ৰদৰ্শিত স্বর কণ্ঠে আনিতে হয়, তেমনি শাস্ত্ৰ পাঠ করিলেই কেহ ধাৰ্ম্মিক হয় না। শাস্ত্রোক্ত ধৰ্ম্মকে জীবনে সাধন করিতে হয়। লিপিবদ্ধ জ্ঞান ও জীবন্ত জ্ঞান উভয়ে অনেক প্ৰভেদ। জীবন্ত মানুষ যাহা জানিয়াছে, শুনিয়াছে, ভাবিয়াছে ও ভোগ করিয়াছে, তাহার অল্প অংশই লিপিবদ্ধ হইয়াছে। অদ্যাপি জগতে এই নিয়ম চলিতেছে। কোন কবি, কোন কালিদাস, কোন সেক্সপিয়ার আজ পৰ্যন্ত জীবন্ত মানুষের সকল ভাব ব্যক্ত করিতে সমর্থ হইয়াছে ? লিপিবদ্ধ সাহিত্যের পশ্চাতে সৰ্ব্বদাই একদল জীবন্ত মানুষ রহিয়াছে, যাহাঁদের হৃদগত ভাবের, হৃদিগত আশা ও আকাঙক্ষার কিয়দংশ লিপিবদ্ধ হইয়া শাস্ত্রের আকার ধারণ করিতেছে, অপরাংশ শ্রেীকৃতি-পরম্পরাতে নামিয়া আসিতেছে। জগতের সমুদায় জ্ঞান-সম্পত্তি কোনও দিন সমগ্রভাবে লিপিবদ্ধ হইতে পারে নাই। এক সময়ে এরূপ সকল লোক ছিলেন, যাহারা ঐ জ্ঞান সাধন করিয়াছিলেন। তাহারা সেই সকল সাধনের উপায় ও প্ৰণালী অনুগত শিষ্যগণকে উপদেশ করিয়া গিয়াছেন। তঁহারা আবার তাহা তৎপরবর্তী দিগকে উপদেশ করিয়া গিয়াছেন ; এইরূপে লিপিবদ্ধ জ্ঞানের